প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানাধীন ২৫ নং ওয়াডস্থ মধ্য রামপুর বউবাজারে ফয়েজ কমিশনার লেইনের মাদক ব্যবসায়ী নেছারের ৪র্থ স্ত্রীকে মারধর ও নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে।চট্টগ্রামের ৪১টি ওয়ার্ড ও ১৬টি থানা এলাকায় অসাধু পুলিশের ছত্রছায়ায় প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা ও অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে নেছারের বিরুদ্ধে। পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে মাদক ব্যবসা জমজমাট হলেও সেখানে পুলিশের বাণিজ্য বেড়ে যায় কয়েকগুন । প্রতিটি থানা পুলিশের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রায় এলাকায় প্রতিদিন কোটি টাকার মাদক বাণিজ্য চলে। তার মধ্যে বেশির ভাগই উল্লেখ যোগ্য এলাকা হলো-চট্টগ্রাম রেলওয়ে ষ্টেশনের মাদক সম্রাট মনির, আগ্রাবাদ বিসিক মার্কেটের কালাম, ছোটপুলের মহিউদ্দিন, ঈদগা বার কোয়াটারের ইকবাল ও চট্টগ্রাম হালিশহর থানাধীন মধ্য রামপুর বৌবাজার ফয়েজ কমিশনার লেইনের ৭২৩নং মসজিদ গলির ফারুক আহমদের সন্ত্রাসী পুত্র ও বিএনপি,জামায়াত ক্যাডার নেছার আহমদ এর আস্তানায় ।৪১টি ওয়ার্ডে ফেনসিডিল ও ইয়াবা পাচার হয় বলে জানিয়েছেন, ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল সবুর লিটন। মাদক বিরোধী আন্দোলন পাহাড়তলী থানা শাখার জানিয়েছেন পাহাড়তলী থানা আওয়ামীলী সভাপতি মো: সাবের আহমদ বলেন আমরা মাদক নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে সবসময় সহযোগিতা করে আসছি, পুলিশের অবহেলার কারণে প্রতিটি এলাকায় মাসোহারার বিনিময়ে মাদক ব্যবসা চলে আসছে এতে যুব সমাজ ধ্বংস হচ্ছে। সাবের আহমদ আরো বলেন, নেছার নামের সন্ত্রাসী মধ্য রামপুরের বউবাজার এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, ভি.ও.আই.পি ব্যবসার পাশাপাশি মধ্য রামপুর বৌবাজার এলাকায় মরণনেশা ইয়াবা বিক্রি ট্যাবলেট বিক্রি করে ছাত্র ও যুব সমাজের হাতে নেশা ট্যাবলেট তুলে দিয়ে তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছেন বলে জানান। নেছারের স্ত্রী শাহানাজ বেগম ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুর সবুর লিটনের কার্যালয়ে নির্যাতনে স্বীকার হয়ে নেছার সহ তার সন্ত্রাসী বন্ধুদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেও ন্যায় বিচার না পেয়ে অবশেষে বাংলাদেশ মানবাধিকার সমাজ এর মাধ্যমে আদালতের আশ্রয় নিয়ে নেছার ও স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে। নেছারের ৪র্থ স্ত্রী শাহানাজ বেগমের অভিযোগ তিনি তাকে বিশ্বাস করে বিবাহ করেছেন স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে। বিয়ের পুর্বে সরকারী খালি ষ্ট্যাম নং -হ-৩২০৯৪৪৩(একশত টাকা), হ-৩২০৯৪৪৪(একশত টাকা), হ-৩২০৯৪৪৫৯(একশত টাকা করে তিনটি অলিখিত ষ্ট্যাম্পে – তিন লক্ষ টাকা কাবিনে বিয়ে করেছেন নেছার। ৩টি ষ্ট্যাম্পে বিয়ের স্বাক্ষীগণ-মো: শহীদুল ইসলাম, পিতা: শামসুল হক, সাং-সরাইপাড়া, থানা: পাহাড়াতলী, চট্টগ্রাম, মো: এমরাউল কায়েস, পিতা: আজিজুল হক, সাং-মধ্য রামপুর, আনোয়ারা ম্যানশন, থানা: হালিশহর, চট্টগ্রাম, মো: রিদুয়ান, পিতা: মৃত মো: আমিন, রফিকুল আলম টিটু, মো: নাছির, সাং-৭২৩ মসজিদ গলি, বৌবাজার, মধ্য রামপুর, থানা: হালিশহর, চট্টগ্রামকে স্বাক্ষী রেখে তিন লক্ষ টাকা উল্লেখ করে বিবাহ করেছেন। তার মধ্যে বিবাহের পর শাহানাজ বেগমকে ভরণপোষণ বা খাওয়া খোরাকী না দিয়ে তাকে নেছার নেশা করে প্রতি রাতে নির্যাতন করে আসছেন বলে শাহানাজ বেগম জানান। স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করায় শাহানাজ বেগম হয়ে মাদক ব্যবসায়ী নেছার ও স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু কোর্টে বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন বলে তিনি জানান। প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করা সহ নির্যাতনকারী নেছার আহম্মেদ ও ষ্ট্যাম্পে ভুয়া স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নেছারের ৪র্থ স্ত্রী শাহানাজ বেগম।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১৭ জুন, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৩ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।