মনির হোসেন খান।
যে কোন জেলা শহরের বিভিন্ন সড়কের নামকরন করা হয় দেশের কোন কীর্তিমান বা জেলার কোন কীর্তিমান মানুষদের নামানুসারে। তেমনি চাঁদপুর শহরেও এর ব্যত্তয় ঘটেনি। এ শহরেরও বিভিন্ন সড়কের নামকরন করা হয়েছে তেমনি কিছু কীর্তিমান ও আলোকিত মানুষদের নামানুসারে। এই যেমন বঙ্গবন্ধু সড়ক, মিজানুর রহমান চৌধুরী সড়ক, আঃ করিম পাটওয়ারী সড়ক, সফিউল্লা সড়ক, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়ক গুলোর নাম উল্লেখ যোগ্য। জীবদ্ধশায় তাদের কীর্তির স্বীকৃতি স্বরুপ তাদের সন্মানার্থে এবং তাদেরকে স্মরনীয় করে রাখতেই এমন নামকরনের আয়োজন। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কের নামকরনও সে অর্থেই করা। মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদেরকে স্মরনীয় করে রাখতেই চাঁদপুরের একটি অতিব গুরুত্বপুর্ন সড়কের নাম করন করা হয়েছে শহীদ মুক্তিযোদ্বা সড়ক। সড়কটি ঠিকি আছে কিন্তু তার নাম ফলকটির আজ জীর্ন দশা। নাম ফলকটির উপরে ধূলো ময়লা আর শেওলা জমে নামটি প্রায় অস্পষ্ট। নাম ফলকটির উপর নীচ চারিপাশটাই ভাঙা। যে দুটো ছোট পিলারের উপর নাম ফলকটি দাড়িয়ে আছে তারও বেহাল দশা। দেখে মনে হয় যে কোন সময় ভেঙে পড়ে যাবে। এমন দৃশ্য শহরের অন্যান্ন নাম ফলকের মাঝেও পরিলক্ষীত হয়। বঙ্গবন্ধ সড়কের নাম ফলকটিকে পাশের ফায়ার সার্ভিসের সীমানা প্রাচীরের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে যাতে মুখ থুবরে পড়ে না যায়। কিছু বেরসিক প্রচার কর্মি তাদের প্রচারের পোষ্টার সেঁটে যায় নাম ফলকের উপরে। এ যেনো তাদের প্রচারের বিলবোর্ড। আর কেউ কেউ তো এসব নাম ফলককে তাদের দোকানের নির্ধারিত ডাষ্টবিন হিসেবে ব্যবহার করে যাচ্ছেন মহানন্দে। এমন দৃশ্য শুধু দৃষ্টি কটুই নয়, অসন্মানেরও বটে। হয়তো কারো নিদারুন উদাসিনতাই এর জন্য দায়ী। যেখানে বিশেষ দিবসে শহরের বিভিন্ন স্হাপনা যেমন অঙ্গিকার, শহীদ মিনার, শপথ চত্বরকে সাজানো হয় নতুন আঙ্গিকে। সেখানে ঠায় হয়না ছোট্র এই নাম ফলক গুলোর। হয়তো অঙ্গিকার, শহীদ মিনার, শপথ চত্বরের মতো গুরুত্ব বহন করে না এই নাম ফলকগুলো। এসব নাম ফলক গুলো আকাঁরে অনেক ছোট বলেই এদের জীর্ন দশা এ শহরের অনেক বড়দের চোঁখে তা পড়ে না। কিন্তু এ শহরের বড় বড় সব মানুষগুলো প্রতিদিনই এ সড়কের উপর দিয়ে যাতায়াত করেন। অথচ এ মাসটি হলো মহান স্বাধীনতার মাস। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ আমরা পাকিস্তানীদের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতা লাভ করেছিলাম। মুক্তিযোদ্ধাদের মহান আত্ন ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছিলাম স্বাধীনতা আর একটি স্বাধীন দেশ। তাই মুক্তিযোদ্বারা এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান, সূর্য্য সন্তান। আর যারা এমন কীর্তিমান তাদের কীর্তিও তো অতিব উজ্বল। তাহলে তাদের নাম ফলকও তো জ্বল জ্বল করে জ্বলে থাকবার কথা অন্তত এই স্বাধীনতার মাসে। তবেই তো কীর্তিমানদের প্রতি সন্মান প্রদর্শিত হবে, তাদের সন্মান অক্ষুন্ন থাকবে। আর পরবর্তি প্রজন্মের কাছে তারা থাকবে অমর। এ বিষয়ে সুধী মহল পৌর মেয়র ও সংশ্লীষ্ট কর্তৃপক্ষের সু দৃষ্টি কামনা করছেন।