রিফাত কান্তি সেন
প্রত্যেহ ঘর থেকে বেড়িয়ে আবার ঘরে ফিরে আসাটা অনেকের ই দৈনন্দিন রুটিন মাফিক কাজ।
সকলের ই প্রত্যাশা জেনো সে সুস্থ সবল দেহ নিয়ে ঘরে ফিরতে পারে।
কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস নাকি কারো সেচ্ছা,খামখেয়ালির বসে তা আর বাস্তব হয়ে উঠে না।
জন্মিলে মরিতে হবে এইতো বিধির বিধান, কার মৃত্যু কখন হবে সেটা ও অজানা।
তাই বলে কি সাবধানতা বলে একটি কথা আছে সেটা ভূলে গেলে ও তো চলবে না।
গত কয়েক মাসে সারা দেশে অসংখ্য সড়ক দূর্ঘটনা পরিলক্ষিত হয়েছে,ঝড়েছে নাম না জানা অসংখ্য মানুষের তাজা প্রান।
আজ ও রাজবাড়ীর দৌলদিয়ায় দুটি বাসের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত আহত ১০।
এই হিসাব টা যদি মাসিক করা হয় তবে প্রতি মাসে গড় প্রতি ৬০ থেকে ৭০ জন মৃত্যুর কোলে ঢেলে পরে।
যোগাযোগ মন্ত্রী (ওবায়দুল কাদের) গৃহিত মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল বন্ধ করে অনেকটা ই জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে সফল হলে ও কমছে না মৃত্যুর মিছিল।
অবশ্য এর জন্য জনগন দায়ী করছেন অদক্ষ চালকদের।
যদি পৃথিবীর উন্নত দেশ গুলোর দিকে তাকান তবে দেখবেন তাদের দেশে সড়ক দূর্ঘটনা এতটাই কম যে তাদের দেশে মৃত্যুর মিছিল ও স্বল্প।
আমাদের দেশে চালকদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ অনেক কম,বেশীর ভাগ চালকের ই ভূয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স।
অনেক চালক ই জানেন না আইন কানুন।
কয়েকদিন হেলপারি করার পর ই এরা চালকের আসনে দেখা যায়।
এদের ধারনা নেই ওভারট্যাক এর সমন্ধে,এরা পাল্লা দিয়ে গাড়ী চালায়।
ট্রাফিক আইনের বাইরে গিয়ে গতি বাড়িয়ে চালাচ্ছে যানবাহন।
বি, আর, টি এর মহতী উদ্যেগে রাস্তা থেকে যেমন সড়িয়ে নেয়া হচ্ছে ফিটনেস বিহীন যানবাহন,তেমনি অনতিবিলম্বে রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া উচিত অদক্ষ চালকদের।
ভিবিন্ন ট্রেনিং সেন্টার থাকলে ও সেখানে গিয়ে চালকরা ড্রাইভিং প্রশিক্ষন না দিয়ে কোন রকম হেলপারি পরে সোজা চালককের আসনে এক শ্রেনীর অসাধু চালকরা।
সড়ক দূর্ঘটনা নিয়ে অনেকে ই অনেক প্রতিবেদন পেশ করেন,আবার বর্তমানে অনেকেই সচ্চার।
প্রচার,প্রচারনার ও নেই কমতি!
যোগাযোগ মন্ত্রী নিজেই রাস্তায় লিপলেট বিতরন করেন।
১৯৯৩ সালে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাবার পর থেকে তিনিই প্রথম দেশে ব্যাপকভাবে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করছেন। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ (নিসচা)।
নিসচা এর তথ্য মতে, প্রতি বছর দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় প্রায় ৭ হাজার মানুষ। এ হিসেবে গত ১৯৯৩ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মোট ১৭ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে লক্ষাধিক মানুষ। সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি)-এর জরিপ অনুযায়ী, বছরে কমপক্ষে ১২ হাজার ৮শ’ মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০০৯ সালের প্রতিবেদনে অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে মারা যায় ২০ হাজার ২৩ জন
এভাবে প্রতিদিন ই বেড়ে চলেছে মৃত্যুর মিছিল।
চালক একা নয় মারছে অগনিত তাজা প্রান।
মহাসড়ক, আন্তসড়ক,কিংবা গ্রামের মেঠো পথের সড়ক সব খানেই জেনো অভিশাপে রুপ নিয়েছে সড়ক দূর্ঘটনা।
এতে করে পরিবার হারাচ্ছে তার প্রিয় মানুষটিকে,দেশ হারাচ্ছে এক একটি মেধাবী মনুষ্যকে।
তথ্য বলছে গাড়ীর অতিরিক্ত গতি,ভাঙ্গা রাস্তা,ওভারট্যাক,পাল্লা দিয়ে গাড়ী চালানো, ট্রাফিক আইন না মানা।
ত্রুটিপূর্ন ফিটনেস বিহীন যানবাহন, এছাড়া চালকদের উদাসীনতা, বেপরোয়া গাড়ী চালানো ও দূর্ঘটনার মূল কারন।
মালিকদের উচিত লং ড্রাইবে একের অধিক দক্ষ চালক রাখা।
কেনো না এতে মালিক ও তার পুঁজির একমাত্র সম্বল গাড়ীটি হারাতে পারে।
কতৃপক্ষকে অনুরোধ জানাই লাইসেন্স দেয়ার আগে জেনো একটু ঝালিয়ে নেন তিনি আসলে ই যোগ্য ড্রাইভার কি না।
গত কয়েক মাসে চাঁদপুরের, ফরিদগঞ্জ,রায়পুর মহাসড়ক ও পরিনত হয়েছিলো মৃত্যু ফাঁদে,।
ফরিদগঞ্জের স্থানীয় অনলাইন পত্রিকা ফরিদগঞ্জ টাইমস এর শিরোনাম উঠে এসেছিলো, সড়ক দূর্ঘটনার ভয়াবহ স্পট চাঁদপুর, ফরিদগঞ্জ,রায়পুর সড়ক।
এছাড়া বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রতিদিনই ফুটে উটছে দূর্ঘটনার চিত্র।
যখন একটি লঞ্চ দূর্ঘটনার স্বীকার হয় তখন সকলের নজর থাকে অনেক লোকের প্রানহানির দিকে,কিন্তু ঐ যে কথায় আছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালিকনা, বিন্দু বিন্দু জল, গড়ে তোলে মহাদেশ সাগরে অতল।
সেই নৌপথে ঠিক ই ভয়াবহ দূর্ঘটনা হয় তবে সেই দূর্ঘটনা সড়ক দূর্ঘটনার কিঞ্চিত ও নয় সেটা বিভিন্ন সংস্থ্যার প্রতিবেদন ই জানান দেয়।
ড্রাইভার দের এতটু সতর্কতা ই পারে সড়ক দূর্ঘটনা দূর করতে,নইলে এই মৃত্যুর মিছিল একদিন এতটা ই ভয়াবহ রুপ নেবে যে তা নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টসাধ্য হয়ে দাড়াবে।