ফাহিম শাহরিন কৌশিক খান ॥
চাঁদপুরে হত্যা মামলা ও ছিনতাই কারীর হোতা স্টেন রোডের মুন্না সম্প্রতি কালে নৌ-ফঁড়ির ইনচার্জ মনির গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ কারার পর কিছু দিন জেল খেটে বের হয়ে পূনারয় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া রোডের বাসিন্দা সম্রাটকে সিএনজি যোগে চানখার দোকান এলাকায় নিয়ে হত্যা করে বস্তা বন্দি করে রাস্তার পাশের খালের ফেলে রাখে। সেই ঘটনায় নীহত সম্রাটের বাবা আব্দুল মতিন গাজী বাদী হয়ে দায়ের কৃত মামলায় মুন্না গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘ দিন জেল হাজতে ছিল। সেই মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী হিসাবে মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক নন্দন সরকার গতকাল শনিবার বিকেল ৫টায় স্টেন্ড রোড এলাকা থেকে মুন্নাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে শহরে ছিনতাই করে টাকা ভাগা ভাগি নিয়ে কোড়ালিয়ার আব্দুল মতিনের ছেলে সম্রাটের সাথে স্টেন্ড রোডের নূরুল ইসলামের ছেলে মুন্না গাজী ৩২ সাথে বাগ বিতন্ড হয়। পরে মুন্না ও তার সহযোগীরা প্রলবন দেখিয়ে সম্রাটকে তুলে নিয়ে খুন করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যায়। সেই ঘটনায় সম্রাটের বাবা আব্দুল মতিন তাদের বিরুদ্বে হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নং- ১১৮/১২। দীর্ঘ দিন সে জেলে থাকার পর জামিনে বের হয়ে শহরে ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপকর্মের ঘটনা ঘটায়। মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আবু সাইদ সঙ্গিও ফোর্স নিয়ে মুন্নার বাসা তল্লাসী চালিয়ে দেশীয় বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করে। হত্যা মামলার আসামী মুন্না গাজী ও তার সহযোগী মাদ্রাসা রোড লঞ্চ ঘাটে ছিনতাই কালে নৌ-পুলিশ তাকে নদী থেকে আটক করে। ছিনতাইর ঘটনা সহ বহু মামলার আসামী মুন্না গাজী জেল হাজত থেকে জামীনে বের হয়ে আসায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। ফের হত্যা মামলার আসামী মুন্নাকে গ্রেফতার করায় বর্তমানে মানুষের মাঝে সস্তি ফিরে এসেছে।