চাঁদপুর: ১৮ দলের টানা ৬০ ঘণ্টা হরতালের দ্বিতীয় দিন গতকাল ২৮ অক্টোবর সোমবার চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। হরতালের পক্ষে-বিপক্ষে দফায় দফায় তুমুল সংঘর্ষে আরজু ঢালী নামে ১৪ বছরের এক নিরীহ কিশোর মারা গেছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৫০জন। পুলিশ সংঘর্ষের সময় ৪৯ রাউন্ড শর্টগানের গুলি (রাবার বুলেট) ও ৭ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছে, পুলিশের গুলিতে আরজু মারা গেছে। তবে পুলিশ বলেছে, তারা শর্টগাটের গুলি ব্যবহার করেছে। আর এর দ্বারা মানুষ দূরে থাক একটি পাখিও মারা যায় না। আরজু দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়ে মারা গেছে। এদিকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক ডাঃ রুহুল আমিন যিনি আরজুকে দেখে মৃত ঘোষণা করেন তিনি ওই সময় (দুপুর দেড়টা) এই প্রতিবেদককে বলেন, নিহত কিশোরের মাথায় বুলেট ও অন্য কিছুর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুরাণবাজার লোহারপুল ও বাদিয়া বাড়ি সড়কে (নতুন রাসত্দায়) দফায় দফায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের মধ্যে এই তুমুল সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় উভয় দল ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে। তবে যাদের হাতে ধারালো বড় বড় দেশীয় অস্ত্র ছিলো তারা বয়সে একেবারেই কম। অস্ত্রধারী কারো কারো মাথায় হ্যালমেট ছিলো। সংঘর্ষের সময় বাদিয়া বাড়ি সড়কের পাশে থাকা বিএনপি নেতা আঃ রব বেপারীর বসতঘর ও ঘরের ভেতরের আসবাবপত্র নির্মমভাবে কুপিয়ে ব্যাপক ৰতিসাধন করা হয়। তার ঘর কোপানোর দৃশ্য মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। একই সময় একটি রিক্সার ঘর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নূর মোহাম্মদের দোকান কুপিয়ে ক্ষতিসাধন করে সন্ত্রাসীরা। এছাড়া আরো বেশ কিছু দোকান ও বসতঘর ভাংচুর করা হয়।
এদিকে নিহত আরজুকে বিএনপি নেতারা এবং জেলা ছাত্রদল তাদের কর্মী বলে দাবি করলেও আরজুর বাবা-মা ও এলাকাবাসী বলেছে সে কোনো দল করে না। তবে আরজুর বাবা বিএনপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দল করে বলে জানা গেছে। আরজুকে ছাত্রদল কর্মী দাবি করেন জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম জুয়েল আজ ও আগামীকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যনত্দ চাঁদপুর জেলায় হরতাল আহবান করেছে। আবার জুয়েলের এ হরতালের বিরোধিতা করেছে জেলা বিএনপির সেক্রেটারী। পুরাণবাজারের এ ঘটনার পর প্রশাসন আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যনত্দ চাঁদপুর শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে। এ সংক্রানত্দ ব্যাপক মাইকিং করা হয়। দুপুরের পর থেকে শহরে দুই পস্নাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও এএসপি (হেড কোয়ার্টার)সহ বিজিবি শহরে টহল দেয়।
এদিকে হাজীগঞ্জে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেছে। উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে সরকার দলীয় কর্মীরা। বিকেলে হাজীগঞ্জের পাঁচই গ্রামে জসিম উদ্দিন নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেছে বিএনপি-জামাত কর্মীরা। আর শাহরাস্তির দোপল্লায় গতকাল আবারো সংঘর্ষে উভয় দলের কমপক্ষে ১৫জন আহত হয়েছে। জেলাব্যাপী এই ব্যাপক সহিংসতার মাঝে আজও ১৮ দলের তৃতীয় দিনের মতো হরতাল। আজ সন্ধ্যা ৬টায় টানা ৬০ ঘণ্টার হরতাল শেষ হবে।
পুরাণবাজারে সংঘর্ষে আহত হাকিম আলী (২৫), আমিন (৩৮), কাঞ্চি বেগম (৪০), সুমন (১৮), আজাদ (১০), সোহাগ (২০), শরীফ (২৫) ও ইমাম হোসেন (৩৯) কে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিকেলে হাকিম আলীকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা রেফার করা হয়েছে। এছাড়া চাঁদপুর মডেল থানা ও পুলিশ লাইনের সালাউদ্দিন (২১) ও লুৎফুর (২৫) নামে দু’পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তারাসহ আরো কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। এরা হলেন- রকি (৪৫), ফজলু মিজি (৪০), বাদল খলিফা (৩৫), আপন দাস (১৮), নয়ন (২৮), এমরান (২০), গোলাম হোসেন (৪৫), ফজল প্রধানিয়া (৪০), দুলাল কাজি (৫০) ও কামাল ঢালী (৪৫)। এদের মধ্যে হাকিম আলী ও গোলাম হোসেন পুলিশের শর্টগানের গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হয়। আহত মিষ্টি দোকান কারিগর হাকিম আলীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। নিহত আরজুর বাবার নাম মুকবুল ঢালী। বাড়ি পুরাণবাজার রিফিউজি কলোনীতে। আহতরা স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মী বলে জানা যায়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৮ দল আহুত ৩ দিনের হরতালের গতকাল সোমবার ২য় দিন পালন করার জন্য পুরাণবাজারের বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের একাংশের নেতা-কর্মী সকাল ৭টা থেকে লোহারপুল ব্রিজ চত্বর এলাকায় অবস্থান নেয় এবং হরতালের পক্ষে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করে শক্ত পিকেটিং এবং মিছিল করে। সেখানেই আবার হরতালের বিপক্ষে অবস্থান নেয় বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। হরতালের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নেয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির উপস্থিত নেতা-কর্মীদের মধ্যে তর্ক বেঁধে যায়। সকাল ৮টা ৫ মিনিটের সময় বিএনপির কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে তাদের কর্মসূচি পালনে বাধার অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের উপর চড়াও হয় এবং ধাওয়া করে। এ সময় দু’টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। মুহূর্তের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং শুরু হয় উভয়ের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ব্যাপক ইট-পাটকেল নিক্ষেপ। এক পর্যায়ে খবর পেয়ে হরতালে ডিউটিরত টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পুলিশও পাল্টা জবাবে টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে সংঘর্ষে লিপ্ত দু’দলের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করে। তখন হরতালকারী বিএনপির কর্মীরা পিছু হটে ছৈয়াল বাড়ি মদিনা মসজিদ সড়কে ঢুকে পড়ে। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়ে আসলে পলাশের মোড় রয়েজ রোড হয়ে ধারালো অস্ত্র ও লাঠি-সোটা নিয়ে যুবলীগের একটি হরতালবিরোধী মিছিল লোহারপুল চত্বরে এসে বিএনপি কর্মীদের ধাওয়া করে। আবারো সেখানে দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ পরিস্থিতিতে এএসপি (হেড কোয়ার্টার) শচীন চাকমা, এএসপি চাঁদপুর সদর সার্কেল সৈকত শাহীন, চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব মোর্শেদসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স সংঘর্ষে লিপ্ত আওয়ামী লীগ-বিএনপি নেতা-কর্মীদের রাবার বুলেট ছুঁড়ে ধাওয়া করে। আধা ঘণ্টাব্যাপী দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ মক্কা মিলের পাশের বাড়ি থেকে ছাত্রদল নেতা সাগরকে না পেয়ে তার বড় ভাই আবুল বাশারকে ধরে নিয়ে যায়। এ সংঘর্ষের ঘটনার জের ধরে পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে টিএন্ডটি হাসপাতাল সড়ক, নিতাইগঞ্জ, মোম ফ্যাক্টরী, রিফিউজি কলোনী, মেরকাটিজ রোড, মধ্য শ্রীরামদী ও খাল রাস্তা এলাকায়।
যেভাবে শুরু হয় সংঘর্ষ : সকাল ৯টায় লোহারপুল এলাকা থেকে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা পলাশের মোড়ে অবস্থান নেয়। তখন তাদের হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। এ সময় ৫নং ঘাট দিয়ে নতুন বাজার এলাকা থেকে হরতালের পিকেটিংয়ে অংশ নিয়ে পুরাণবাজারের বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের একাংশের নেতা-কর্মী নিজ এলাকায় আসছিল। এমন খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ কর্মীরা তাদের আক্রমণ করার জন্য দৌড়ে যায়। বিএনপির কর্মীরা তখন এদিকে নৌকা না ভিড়িয়ে তারা পদ্মা লবণ মিলের মাঠে নেমে পাল্টা আওয়ামী লীগ কর্মীদের ধাওয়া করে। তখন পুরাণবাজার মার্চেন্টস্ একাডেমীর ক্লাস চলছিলো। সকাল সাড়ে ৯টায় বিদ্যালয়ের পাশের রাস্তায় লাঠি-সোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে দৌড়া দৌড়ি ও চিৎকার চেঁচামেচিতে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। পরিস্থিতি সেখানে শান্ত হলে শিক্ষকরা ক্লাস রুমে ছাত্র-ছাত্রীদের সান্ত্বনা দিয়ে নিরাপদে তাদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করে দেয়। সকাল ১০টার দিকে ওই ঘটনার জের ধরে আওয়ামী লীগের আক্রমণের জবাব দিতে বিএনপির কর্মীরাও ধারালো অস্ত্র, লাঠি-সোটা ও ইট নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে। শুরু হয় খালের রাস্তার উপর আওয়ামী-বিএনপির তুমুল সংঘর্ষ। ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে সেখানটা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বিএনপি কর্মীরা নিতাইগঞ্জ হয়ে ট্রাক সড়কের দিকে ছিল। অপরদিকে আওয়ামী লীগ কর্মীরা সুইপার কলোনীর ওই রাস্তায় অবস্থান নিয়ে একে অপরের উপর বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করার জন্য তেড়ে যায়। এ সংঘর্ষের এক পর্যায় হাওলাদার বাড়ি সংলগ্ন খাল রাস্তার পাশে ৩টি বসতঘর ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করা হয়। খবর পেয়ে সেখানেও ছুটে যায় পুলিশ। টিয়ারশেল শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে ফের ওই স্থানে বিবদমান ওই দুই রাজনৈতিক দলের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ বাবুরহাট পুলিশ লাইন থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স সহকারে ৩য় দফা সংঘর্ষের স্থানে যায় এবং উভয় দিকে ধাওয়া করে। এ সময় পুলিশকে সেখানে বেশ কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুঁড়তে হয়। বিএনপি-আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষের সময় আরজু (১৪) নামে এক কিশোরকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে আনলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান। মাথায় বড় ধরনের আঘাত পাওয়ায় ছেলেটির মৃত্যু হয়েছে বলে এ সময় চিকিৎসক জানান। এ সংঘর্ষের ঘটনায় হাকিম আলী নামে একজন পথচারী (সুমনের মিষ্টি দোকান কর্মচারী) মাথা, বুকে ও পিঠে একাধিক রাবার বুলেটবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। এ সংঘর্ষের সময় পুলিশের ছোঁড়া রাবার বুলেটে গোলাম হোসেন (৪৫) নামে একজন বাদ্য যন্ত্র শিল্পী মারাত্মক আহত হয়েছে। তাকে প্রিমিয়ার প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানা যায়।
নিহত আরজুর মা জানান, তার ছেলে বাড়ির কাছে সুতার কারখানায় দিনমজুর হিসেবে কাজ করতো। গোসলের কথা বলে সে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। পরে তার মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে যাই। এদিকে ঘটনার পর পুলিশের গুলিতে দু’জন মারা গেছে এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতালে একজনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোঃ আমির জাফর জানান, আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে ১জন মারা গেছে। পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেনি। শর্টগানের গুলি অর্থাৎ রাবার বুলেটে পাখিও মারা যায় না। পুলিশের গুলিতে মারা যাওয়ার কথা সঠিক নয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৪৯ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও ৭ রাউন্ড টিয়ারশেল ব্যবহার করেছে। চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল জানিয়েছেন, নিহত আরজু কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মী নয়। সে একটি কারখানায় দিন মজুর হিসেবে কাজ করতো বলে ছেলেটির মা-বাবা আমাদেরকে এবং প্রশাসনকে জানিয়েছে।
এদিকে জেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক কাজী মোঃ ইব্রাহীম জুয়েল জানান, নিহত আরজু ১নং ওয়ার্ড ছাত্রদল মহল্লা কমিটির সদস্য। তার বাবা মুকবুল ঢালী ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা। ছাত্রদল কর্মী হত্যার প্রতিবাদে চাঁদপুর জেলা ছাত্রদল শহর এলাকায় আজ থেকে দু’দিনের হরতাল আহবান করেছে। এদিকে দলীয় কর্মীর মৃত্যুর খবর শুনে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকসহ নেতৃবৃন্দ হাসপাতালে ছুটে যান এবং নিহতের পরিবারকে সান্ত্বনা দেন ও আহতদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। শহরে এই সহিংস ঘটনার পর থেকে পুরো চাঁদপুর পৌর এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করে। চাঁদপুরে প্রশাসন এ পরিস্থিতির মুখে ১৪৪ ধারা জারি করে শহরে ব্যাপক মাইকিং করেছে।