মিজানুর রহমান রানা
শুক্রবার রাতে প্রায় সহস্রাধিক যাত্রী নিয়ে হাইমচর উপজেলার চরমনিপুর এলাকায় মেঘনা নদীর ডুবোচরে আটকে পড়া পটুয়াখালীগামী এমভি সাত্তার খান-১ লঞ্চটি ৪১ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সাথে লঞ্চটির মাস্টারসহ দু’সুকানীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন মাস্টার মিলন হোসেন ও সুকানী স্বপন খান ও ফোরকান। আটক লঞ্চটি চাঁদপুর বিকল্প লঞ্চঘাটে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা সদরঘাট থেকে প্রায় সহস্রাধিক যাত্রী নিয়ে এমভি সাত্তার খান-১ লঞ্চটি পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। লঞ্চটি রাত ১১টায় চাঁদপুরের মেঘনা নদী অতিক্রমকালে হাইমচর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের চরমনিপুর এলাকার চালকের বেখেয়ালীপনায় মেঘনার ডুবোচরে আটকে যায়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নির্দেশে সকাল ৯টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব আহসান, পোর্ট অফিসার মোবারক হোসেন এমভি রফ রফ-২ লঞ্চ নিয়ে আটকা পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করে চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে নিয়ে আসেন। পরে তাদেরকে এমভি আঁচল ২-এ করে গন্তব্যস্থালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
দীর্ঘ ৪১ ঘণ্টা পর গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে লঞ্চটি উদ্ধার করে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে আনা হয়।
এ বিষয়ে নৌ-কর্মকর্তা মোবারক হোসেন জানান, আটকে পড়া লঞ্চটি আমরা উদ্ধার করে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে আনতে সক্ষম হয়েছি। ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করে দোষীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এদিকে আটক লঞ্চের মাস্টার মিলন হোসেন জানায়, ওইদিন রাত আনুমানিক ১১টার দিকে লঞ্চটির পেছনের দুইটি চেইনের একটি চেইন ছিড়ে যায়। এ সময় আমরা লঞ্চটির ইঞ্জিন বন্ধ করে দেই। প্রবল স্রোত ও বাতাসের তোড়ে লঞ্চটি কিছুটা দূরে গিয়ে ডুবোচরে আটকে পড়ে।
এদিকে যাত্রীদের অভিযোগ, লঞ্চটিতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হয়েছিলো এবং চালকের আসনে বসা ছিলো অদক্ষ চালক। ফলে তাদের বেখেয়ালীপনার কারণেই লঞ্চটি ডুবোচরে আটকে পড়ে যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হয়।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, আমরা লঞ্চটিকে উদ্ধার করে চাঁদপুর ঘাটে নিয়ে এসেছি। এবং লঞ্চের মাস্টার, সুকানীদের আটক করেছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ২৫ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১২ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।