স্টাফ রিপোর্টার ॥
চাঁদপুর হাইমচর উপজেলার আলগী বাজারে শতোর্ধ বয়সি ইউসূফ কবিরাজ এককালে গাছগাছড়ার লতাপাতা দিয়ে মানুষের নানান রোগের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। এর বিণিময়ে তিনি কখনো এলাকার মানুষের কাছ থেকে অর্থ দাবী করেননি বলে জানাযায়। যদি কোন রোগী সন্তুষ্ট হয়ে কিছু দিয়েছে তাই নিয়েছেন। টাকা পয়সা নিয়ে তার কোন মাথা ব্যাথা ছিলোনা সর্বদা তিনি তার সাধ্যের মধ্যে চিকিৎ সেবা দিয়ে যান। অত্র এলাকার প্রায় প্রতিটি পরিবার তার কাছে এসেছে বলে জানাযায়। ইউসূফ কবিরাজ (১১০) এর সাথে আলাপকালে তিনি জানান, লতাপাতার পথ্য দিয়ে জীবনে অনেক মানুষের পাশে দাড়িয়েছি। কারন গাছগাছড়ার মধ্যে অনেক ঔষধের গুনাগুন রয়েছে। এর মধ্যে তিনি কয়েকটি গাছের নাম বলেন এবং তা দিয়ে কি ধরনের কাজ হয়ে থাকে তারও বর্ণনা দেন। যদি কোন রোগীর শারিরিক জটিল সমস্যা মনে হয়েছে, তাকে শহরে ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলেছি। এ মানুষটির বয়সের ভারে এখন আর পারছেননা। এখন তার ছেলে জহির হোসেন পিতার সেখানো চিকিৎসা ব্যবস্থার মাধ্যেমে একই কায়দায় চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আলগী বাজার এলাকায় হাজারো সাধারন মানুষের আপদকালে একমাত্র ভরসা জহির কবিরাজ। তিনি বিভিন্ন গাছগাছড়ার লতা পাতা দিয়ে এলাকার সাধারন মানুষের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন আমি এলাকার মানুষকে গাছগাছালীর মাধ্যমে তৈরি হারবাল ঔষধ দিয়ে থাকি। আমার পিতার শেখানো পথ আমি অনুসরন করছি। প্রতিদিন মানুষ চিকিৎসা সেবা ও নানান রোগের জন্য কি ধরনের লতাপাতা ব্যবহার করা হয় তা অনেকে জানতে ও শিখতে আসে। যেসব রোগ সাধারন প্রাথমিক পর্যায়ে সেইসব অনেক রোগ গাছের গুণাগুনে ভালো হয়। আল্লাহপাক গাছের মধ্যে অনেক মহাঔষধ লুকায়িত রেখেছেণ। এ বিষয়ে আগত কয়েকজন রোগীর সাথে আলাপকালে তারা জানান, জহির কবিরাজ গাছগাছরার যেসব ঔষধ দেয় তা অনেক রোগেই ভালো হয়। কিন্তু কবিরাজের টাকাপয়সা তেমন চাওয়া পাওয়া নাই। ইচ্ছা কইরা যে যা দেয় তাতেই চলে। তবে সব মিলিয়ে সেচ্ছায় এ ধরনের সেবাদানকারি লোকজন খুব কম দেখা যায়।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৬ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।