হাইমচর প্রতিনিধি
হাইমচর উপজেলার দক্ষিণ আলগী গ্রামের মৃত আব্দুল গফুর মুন্সীর বড় ছেলে ভূমিদস্যু হিসেবে খ্যাত মোঃ খোরশেদ আলম মুন্সী চার বোনকে বঞ্চিত করেছে পিতার বিশাল সম্পদ থেকে। জাল সার্টিফিকেট দ্বারা চাকুরি করে চাকুরিচ্যুত হওয়া এই জালিয়াত সন্তান তার পিতার অজ্ঞাতসারে নিজ নামে সব সম্পত্তি রেকর্ড করে জমি বিক্রি করছেন। বঞ্ছিত অসহায় বোনরা পিতার সম্পত্তির হিস্যা পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও ভূমিদস্যু খোরশেদ আলম মুন্সীর হুমকি-ধমকি ও সন্ত্রাস বাহিনীর হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার ভয়ে কেউ অসহায় বোনদের সাহায্যে এগিয়ে আসার সাহস পাচ্ছে না।
জানা যায়, দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর হায়দরগঞ্জ রোকেয়া হাসমতেরনেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভূয়া সার্টিফিকেট দিয়ে শিক্ষকতা করে আসছেন। সরকার যখন সকল শিক্ষকের মূল সার্টিফিকেট যাচাই বাছাই করার জন্য অনুমোদন করে তখনই ঠিক সেই মূহুর্তে খোরশেদ আলম মুন্সী চাকুরি ছেড়ে নিরবে স্ব-পরিবারকে নিয়ে ঢাকায় পালিয়ে। কয়েক বছর সে আত্মগোপনে ছিল। কিন্তু আজো পর্যন্ত ঐ বিদ্যালয়ে যোগদগান করেনি। খ্যাত খোরশেদ আলম মুন্সীর কারণে তার মেজ ভাই শফিউল আলমের তিনটি সন্তান রেখে স্ত্রী মারধর ও মামলা করে বিদায় দেন। ঐ মেজ ভাই শফিউল আলমের স্ত্রী লিপি বেগম অনাহারে-অর্ধাহারে স্বামী-সন্তান হারা হয়ে এখন পাগল প্রায়। প্রায় ১০ বছর পার হয়ে গেলেও শফিউল আলমের স্ত্রী ভাগ্যে জোটেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েকজন গুণীজন বলেন, খোরশেদ আলমের শিক্ষাজীবনের যত সার্টিফিকেট আছে সেগুলো সঠিক নয়। তার কোন বুক-পিঠ নেই। নেই কোন নামাজ রোজা। ভূমিদস্যু খোরশেদ আলম সবসময় বোনদের সাথে কথায় কথায় গালমন্দসহ অশালীন ভাষায় কথা বলে। আরোও বলে যে, প্রথমে আমার টাকা পরে আমার আল্লাহ্। আমার মৃত্যুর পরে কোন ভাই বোন আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী আমাকে মাটি দেয়ার দরকার নেই। আমি দল করি সরকার দলের লোকেরা আমাকে মাটি দিবে। খোরশেদ আলমের বাবা-মা জীবিত থাকা অবস্থায় নদী ভাঙ্গা অসহায় তার মেঝো মেয়ে নূর জাহান বেগমকে ১০ (দশ) কড়া জমিন দান করে। সেই অসহায় নূর জাহান বেগমের বশত ভিটা জমিটাও কুখ্যাত খোরশেদ আলম মুন্সীর নামেও রেকর্ড করে নিয়েছে। বোন নূর জাহান বেগম, অহিদা বেগম, নাজমা বেগমের কান্নায় এলাকার আকাশ-বাতাশ ভারী হয়ে যায়। এদের কাঁন্না দেখলে সবল মানুষ ও সোজা হয়ে থাকতে পারে না।
বিচার চেয়েও বিচার পায় না কুখ্যাত খোরশেদ আলম মুন্সী বোনদেরকে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিয়ে বলে তোরা পারলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করিছ। আমি স্বেচ্ছায় তিল পরিমাণ ও জমি দিতে পারবো না। আমি মামলাকে ভয় পাই না, মুক্তিযোদ্ধারা আমার শক্তি। খোরশেদ আলম মুন্সী দু’টি ছেলে সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে হাসান ও ছোট ছেলে হোসেন। বোনদের জমি বিক্রি করে ঢাকায় এই দু’ ছেলেকে ডিগ্রি অর্জন করার জন্য লাখ লাখ টাকা ব্যয় করেন। এলাকাবাসী জানায়, খোরশেদ আলম মুন্সীর দু’ পুত্রকে লেখাপড়া করিয়ে বড় ডিগ্রি অর্জন করলে তাদের দিয়ে কি উপকারে আসবে। ছেলেরা অর্জন করতে পারবে শুধু বাবার মত জাল জালিয়াতী। যে সন্তানেরা বাবার বড় বোন ফুফুদের সাথে অশালীন খারাপ গাল-মন্দ করতে পারে তারা কী শিক্ষা অর্জন করবে! হবে শুধু সন্ত্রাস। খোরশেদ আলম তার পক্ষে কথা বলার জন্য কিছু সন্ত্রাস বাহিনীকে ও চামচামী করার জন্য লালন পালন করে আসছে।
খোরশেদ আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বালেন, আমি যা করি আমার ইচ্ছা মতই চলি যত পারেন লেখেন। এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে জবাবে বলেন, খোরশেদের এটা আগেরই অভ্যাস। এলাকাবাসী আরো জানান, সারা বাংলাদেশে যদি কোন মিথ্যা ডিগ্রি অর্জন করতে হয় সর্বশ্রেষ্ঠ মডেল হিসেবে পুরস্কার পাবে খোরশেদ আলম মুন্সী। তাই বোনেরা উপায়ন্তর না পেয়ে পিতৃ সম্পদ ফিরে পেতে প্রশাসনিক, সাংবাদিক, সূধীজনের কছে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১৮ মার্চ, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৪ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।