এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকজন জানান, পারুল একটি ভদ্র ঘরের মেয়ে ছিলো। তার স্বামী তাকে মারধর করতো শুনতাম, কিন্তু কারো কাছে বলতো না। নিরবে হজম করতো।
প্রত্যক্ষদর্শী সুফিয়া বেগম জানান, পারুলের মৃত্যুর আগের দিন তার স্বামীকে নদীতে গোসল করতে দেখিছি। পারুলের ছেলে শাহাদাত জানান, আমার মায়ের মৃত্যুর আগের দিন আমরা দাদির বাড়িতে চলে যাই। ঐদিন রাত ১টায় ঘুম থেকে জেগে দেখি আমার দাদি ঘরে নেই। বাড়িতে আসলে জানতে চাইলে দাদি বলেন, পাশের বাড়িতে পান খেতে গেছিলাম। তার কিছুক্ষণ পরে আমার মায়ের মারা যাওয়ার খবর শুনি।
ছোট মেয়ে সুমাইয়া বলেন, বৃহস্পতিবার আমার আব্বায় আমার মাকে মারধর করে চলে যায়। রাতে আমরা ঘরে শুয়ে থাকি, ঘুম থেকে উঠে দেখি, আমার মা ঝুলে আছে। পাশের বাড়ির মহিলা মাকে নিচে নামায়।
এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী মিন্টুর মা জানান, পারুলের মেয়ে চিৎকার করে বলে, আমার মাকে বাঁচান, আমার মা ফাঁসি দিয়েছে। আমি ঘরের ভেতর গিয়ে দেখি পারুল মরে গেছে। তারপর মেয়ে বলেন, আমার মাকে বাঁচান। তখন আমি পারুলকে নিচে নামাই। আমি দেখি পারুল যে ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়েছে সেটা লুজ ছিল, আর ঘাড় বাঁকা ছিল। আমার মনে হয় না পারুল ফাঁস দিয়েছে। আমার বিশ্বাস তাকে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে।
নিহত পারুলের বড় ভাই রাসেল জানান, আমার বোনকে তার স্বামী প্রায় মারধর করতো। বাড়িতে খাওয়ার জন্যে কোন টাকা পয়সা দিতো না। আমরা টাকা পয়সা ও চাল কিনে দিতাম। ঐদিন তার স্বামী মিয়া নেপাল আমার বোনকে মেরে ওড়না দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। আমার বোন আত্ম্নহত্যা করতে পারে না। তাকে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে-এটা আমাদের দাবি। আমরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, সঠিক তদন্ত করে অপরাধীর শাস্তির ব্যবস্থা করেন। অভিযুক্ত মিয়া নেপাল বর্তমানে জেল হাজত রয়েছে।
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ