হাইমচর (চাঁদপুর) সংবাদদাতা: চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ২নং উত্তর আলগী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড ছোটক্ষীপুর গ্রামের প্রবাসী মান্নান গাজীর স্ত্রী গৃহবধূ মিশু বেগমের মৃত্যুকে রহস্য সৃষ্টি হচ্ছে। এ নিয়ে চললে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে মিশুর শ্বশুরালয়ের লোকজন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাকে মানসিক ও শারিরীকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ মিশুর পরিবারের।
২ মার্চ মঙ্গলবার সকল ১১ টায় মিশুর মৃতদেহ তার প্রবাসী স্বামীর বসতঘরের দরজা জানালা বন্ধ অবস্থায় ঘরের ভিতরে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অস্থায় পাওয়া যায়।
এদিকে মিশুর ময়না তদন্তের পর পিত্রালয়ে নামাজে জানাযা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় মিশুর পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন।
অপরদিকে হতভাগ্য মিশুর শশুড় বাড়ি থেকে মিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করার পর মিশুড় শাশুড়ি ও শশুড় বাড়ির লোকজন পলাতক থাকায় মিশুর মৃত্যু নিয়ে তার শশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে সন্ধেহের তীর আরো বেশি ঘনিভূত হচ্ছে। অন্যদিকে মিশুর স্বামী প্রবাসী মান্নান গাজী তার স্ত্রী মিশুকে পিত্রালয়ে রেখে বিদেশ যাওয়ার পর থেকেই অকারণে মিশুর প্রতি দীর্ঘদিন যাবত, অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে আসছে বলে মিশুর বাবা, মায়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
মিশুর মৃত্যুর পর তার প্রবাসী স্বামী মান্নান গাজীর সাথেও মুঠোফোনসহ বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তাই এলাকার সচেতন সমাজের মাঝে এখন প্রশ্ন একটাই গৃহবধূ মিশুর মৃত্যুর জন্য দায়ী কে? মিশুর স্বামী ও শাশড়ি কি দায়ী?
স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মিশুর স্বামী বিদেশে যাওয়ার পর মিশুর শাশুড়ি ও তার ননদরা মিশুর বিরুদ্ধে অপ্রচার করা সহ মিশুকে নানাভাবে জালাতন করতেন। এসব ঘটনার কারণে অনেকেই মনে করেন, শশুর শাশুড়ির যন্ত্রণার কারণেই মিশু হয়তো আত্মহত্যার পথ বেচে নিয়েছেন।
এদিকে দাফনের পূর্বে কান্নাজড়িত কন্ঠে মিশুর মামা তাজুল ইসলাম দেওয়ান, খোকন দেওয়ান, জয়দল হোসেন দেওয়ানসহ আরো কয়েকজন বলেন, মিশুকে তার স্বামীসহ শাশুড়ী এবং ননদ তারা নির্যাতন করে আসছে এবং তার মৃত্যুর জন্য তারাই দায়ী।
তারা বলেন, আমরা তাদের বিচার চাই। তবে মিশুর আত্মহত্যার ঘটনাটির ব্যাবপারে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন সঠিক তথ্যের বিত্তিতে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্ন করে আইনের আওতায় নিয়ে যথাযথ সাজা দিতে পারে। এটাই মিশুর পরিবারসহ এলাকাবাসীর দাবী।
চাঁদপুরনিউজ/এমএমএ/