রফিকুল ইসলাম বাবু।
হাইমচরে চরভাঙ্গায় দেওয়ান বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডাকাত দলের হামলায় ননদ-ভাবীসহ ২ জনকে কুপিয়ে মারাত্মক যখম সহ নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার লুটকালে এলাকাবাসী ৪ ডাকাতকে ৩টি মটর সাইকেলসহ আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করেছে। ঘটনায় আটককৃতদের ছাড়িয়ে নেয়া এবং ডাকাতির মামলা না নেয়ার জন্য কতিপয় শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ জোর তদবীর করছে। গত ৪ নভেম্বর রাতে চাঁদপুর ও লক্ষীপুর জেলার সীমান্তবর্তী হাইমচরের চরভাঙ্গা প্রত্যন্ত গ্রামে ১০/১২টি মটর সাইকেল যোগে ২০/২৫ জনের ডাকাত দল স্থানীয় আক্তার দেওয়ানের বাড়িতে হামলা চালায়। ডাকাতদল আক্তার দেওয়ানের স্ত্রী শাহিনা বেগম (৩২) ও শহীদ মিজির স্ত্রী শাজেদা বেগম (৪০) কে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ঘরে থাকা ১লাখ টাকা ও শাহিনা বেগম ও সাজেদার পড়নে থাকা ২ ভরি স্বর্নালংকার লুট করে। ডাকাতি কালে তাদেরে আত্মীয় স্বজন ও পাশ্ববর্তীদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী চারদিক ঘেরাও করে ডাকাত দলের সদস্য জুয়েল গাজি (৩০), মহিববুল্লা শেখ(২৫), শাকিল (২৫), কাজল (২৮) কে আটক করে। সংবাদ পেয়ে হাইমচর থানা পুলিশ ৪জনকে আটক করে তাদের ব্যবহারিত ৩টি মটর সাইকেল জব্দ করেছে। প্রত্যক্ষদর্শি শাহলম দেওয়ানের স্ত্রী নাজমা বেগম জানান, শনিবার রাত ৯টায় স্থানীয় রতন দেওয়ানের ছোট ভাই এনামুল দেওয়ান ও জুয়েল গাজির নেতৃত্বে ১০/১২টি মটর সাইকেল যোগে ২০ থেকে ২৫ জনের সংঘবদ্ধ একটি চক্র আক্তার দেওয়ানের ঘরে হামলা ও লুটপাট চালায়। এসময় আক্তারের স্ত্রী শাহিনা বেগম বাঁধা দিলে ডাকাত দল তাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে, তাকে উদ্ধারে তার ননদ সাজেদা বেগম এগিয়ে আসলে তাকেও উপর্যপুরি কুপিয়ে জখম করে ঘরে থাকা ১ লাখ টাকা ও তাদের ব্যবহারিত প্রায় ২ভরি ওজনের গলার চেইন ও কানেরদুলসহ স্বর্নালংকার লুটকালে আমাদের ডাক চিৎকারে পাশ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে এসে ৪ ডাকাত জুয়েল গাজি, মহিববুল্লা শেখ, শাকিল , কাজলকে দাড়ালো অস্ত্র সহ তাদের ব্যবহারিত ৩টি হুন্ডা আটক করে। আক্তার দেওয়ান জানান শনিবার পাশ্ববর্তী চরভৈরবীতে ইউপি নির্বাচন থাকায় সবাই যখন নির্বাচন ফলাফল নিয়ে ব্যস্ত ঠিক সেসময় রাতের অন্ধকারে ১০/১২টি মটর সাইকেল যোগে ২০/২৫জনের একটি ডাকাত দল আমার বাড়িতে হামলা করে। এলাকাবাসী তাদের মধ্যে ৪জনকে ৩টি হুন্ডা, অস্ত্রসহ আটক করে। বাকি ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী জানান, ডাকাতির সাথে জড়িত এ চক্রটি এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে মাদক, দাঙ্গা হাঙ্গামা সহ নানান অপরাধের সাথে জড়িত থাকলেও প্রভাবশালীদের প্রশ্রয় থাকায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না। শনিবার ঘটনার পর থেকেই ডাকাতদের ছাড়িয়ে নিতে এবং ঘটনা মিমাংসার জন্য কিছু সংখ্যক নেতা জোড় চেষ্টা চালাচ্ছে। শনিবার রাত থেকেই রবিবার বেলা ২টা পর্যন্ত তদবীর কারিরা ক্ষমতাশীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্েদর সাথে ফোনআলাপে নির্দেশনার মাধ্যমে আটক ব্যক্তিদের ছাড়িয়ে নিতে থানার চত্তরে ঐসকল নেতৃবৃন্দকে ব্যস্ততম সময় পার করতে দেখা যাচ্ছে। হাইমচর থানা অফিসার ইনচার্জ রনোজিত রায় ডাকাতির ঘটনায় ধৈয্য ধরার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।