শওকতআলী,
চাঁদপুর জেলাধীন হাইমচরে নদী ভাঙ্গনে মসজিদ, স্কুল, নৌ-ফাঁড়ি ও হাট-বাজারসহ ৩ শতাধিক বাড়ি-ঘর মেঘনায় বিলীন হয়ে গেছে। প্রায় সহ¯্রাধিক পরিবার ভাঙন আতঙ্কে। চাঁদপুর হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের ২২ আগস্ট গভীর রাত থেকে বুধবার দুপুর পযর্ন্ত মেঘনার প্রবল ¯্রােতে ইউনিয়নে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ও ঈশানবালা বাজারের একাংশ সহ ৩ শতাধিক পরিবারের ঘর বাড়ি নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। এছাড়াও ভাঙনের আতঙ্কে ইউনিয়নের ৩৫নং উত্তর চরকোড়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দোতলা ভবনটি সম্পূর্ণ ভেঙে সরানো সম্ভব হয়নি। বুধবার ভাঙনস্থানে গিয়ে জানাযায়, নীলকমল ইউনিয়নটি নদী-সিকিস্তি চর এলাকা। ২২ আগস্ট গভীর রাত থেকে কয়েক ঘন্টার ভাঙ্গনে ৫০টির মতো পরিবার বসতভিটেহীন হয়েছে। বর্তমানের আরো প্রায় সহ¯্রাধিক পরিবার ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে। গত একমাস ধরে মেঘনার ¯্রােতে এই ইউনিয়নের ব্যাপক ভাঙনে ১৩শ’ মিটার এলাকা নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৩শ’পরিবার গৃহহীন হয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণের দাবি ইউনিয়নবাসীর।
ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আহমেদ জানায়, মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ করেই নদী উত্তাল হয়ে উঠে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ভাঙ্গনে আমরা সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ি।
চাঁদপুর পানিউন্নয়নবোর্ড সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে মেঘনার পানি বিপদ সীমার ৪৯ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভাঙ্গনের চিত্র আরো ভয়াবহরূপ নিতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
শিরোনাম:
সোমবার , ১৫ আগস্ট, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ , ৩১ শ্রাবণ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।