হাইমচর উপজেলার প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ সিরাজুল ইসলাম পেদা’র মেয়ের ঢাকার বাসা থেকে পালিয়ে যাওয়া কাজের মেয়ে রাবেয়া আক্তারকে নিয়ে একটি বিশেষ মহলের ষড়যন্ত্র চলছে। কাজের মেয়ের সন্ধান চেয়ে ওই ঠিকাদারের মেয়ে সালমা বেগম ঢাকা কদমতলী থানায় সাধারণ ডায়েরি, পত্রিকায় নিখোঁজ সংবাদ এবং মাইকিং করার পরও ওই কুচক্রি মহলের অপতৎপরতা থেমে নেই। এ নিয়ে ঠিকাদার সিরাজুল ইসলাম পেদা সন্ধান দাতাদের পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছেন।
জানাযায়, গত ৮/৯ মাস পূর্বে হাইমচর উপজেলা সদর আলগীবাজার এলাকায় বসবাসকারী প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার মোঃ সিরাজুল ইসলাম (সিরাজ পেদা ) পার্শ্ববর্তী দরিদ্র অসহায় শাহিদা আক্তারের এতিম কিশোরী কন্যা রাবেয়া আক্তারকে সিরাজুল ইসলাম পেদার মেয়ে সালমা বেগমের ঢাকা মহানগরির কদমতলি থানার মুজাহিদ নগর এ/পি ৩৯/এ বাসায় কাজের মেয়ে হিসেবে নিয়োগ দেন। ৮/৯ মাস বাসায় কাজ করার পর হঠাৎ গত ২৫ মে রাত ৯টায় বাসা হতে কাউকে না বলে চলে যায়। বিষয়টি পরের দিন সালমা বেগম কদমতলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। যার নং- ১২৭২ তারিখ ২৬/০৫/১৫ খ্রিঃ। জিডির পর বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় নিখোঁজ সংবাদ প্রকাশের ব্যবস্থা করেন। বাড়ির মালিক সালমা বেগম, ঠিকাদার সিরাজুল ইসলাম পেদা, মেয়ের মা শাহিদা বেগম ও ভগি্নপতিসহ মেয়েটিকে খোঁজাখুঁজি করে যখন তার সন্ধান পাওয়ার দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছে, ঠিক তখনই সিরাজুল ইসলাম পেদাকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য একটি কুচক্রিমহল বিভিন্নভাবে অপপ্রচার ও হয়রানিতে লিপ্ত হয়। নিখোঁজ রাবেয়ার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সে বর্তমানে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় অবস্থান করে অজ্ঞাত স্থান হতে ফরিদগঞ্জে তার ভগি্নপতির সাথে যোগাযোগ রাখছেন। ভগি্নপতি তার সন্ধান চেয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করেছেন বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে বিশিষ্ট ঠিকাদার ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম পেদা বলেন, মেয়েটি তার মায়ের সাথে অভিমান করে ঢাকায় আমার মেয়ের সাথে যোগাযোগ করে তার বাসায় কাজ করতে যায়। এ ব্যাপারে আমার কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও নিখোঁজ হওয়ার পর তার মার সাথে যোগাযোগ করে বিভিন্ন প্রকার পদক্ষেপ নিয়েছি। বর্তমানেও তাকে খুঁজে পাওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। মেয়েটির সন্ধান পাওয়া গেলে (০১৮১৬৬১৬৯১৪) নাম্বার যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানাচ্ছি।