হাইমচর (চাঁদপুর) সংবাদদাতা: চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার ৩নং দক্ষিণ আলগী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের হতদরিদ্র করিমুন নেছার নিজের কোন ঘর ছিলোনা। খুব কষ্টের মাঝে ননদের ঘরে দিন কাটাচ্ছিলেন করিমুন নেছা তার এক ছেলে কে নিয়ে, স্বামী ৬ বছর আগে মারা যান তারপর থেকে মানবতার জীবনযাপন শুরু হয় করিমুন নেছার।
মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করে তার পেট চলতো কিন্তু শোয়ার ঘর ছিলোনা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ৯ লাখ পরিবার কে ঘর দিচ্ছেন কিন্তু করিমুন নেছার ভাগ্যে জুটেনি সরকারি ঘর।
রাজনৈতিক নেতাদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন একটি ঘরের জন্য, এমতো অবস্থায় হাইমচর উপজেলার দুই তরুণ সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম ও সবুজ হোসেন জানতে পেরে অনুসন্ধান ডটকমের সাংবাদিক মোঃ তারেক হোসাইন কে বিষয়টি জানান।
তাৎক্ষণিক অনুসন্ধান ডটকম পরিবার সেই দরিদ্র পরিবারের কাছে উপস্থিত হলে জানা যায় করিমুন নেছার মানবতার জীবনযাপনের করুণ গল্প। তারপর সেই দুঃখের চিএ তুলে একটি সংবাদ প্রচার করেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যায় তার পরপরই করিমুন নেছা কে অনেকেই সাহায্য দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। হাইমচর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর বেপারী পোস্টে কমেন্ট করে যোগাযোগ করতে বলেন অনুসন্ধান ডটকম কে, দেশ বিদেশ থেকে প্রবাসীরা সাড়া ফেলতে থাকেন। সেই পোস্টে কমেন্ট করে হাইমচর উপজেলার একজন মাটি ও মানুষের নেতা মোঃ ইসমাইল হোসেন আখন্দ, যিনি ২ নং উত্তর আলগী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভ্যাব চেয়ারম্যান প্রার্থী তিনি অনুসন্ধান ডটকম কে কল করে ঘর করে দেওয়ার আশ্বাস দেন এবং পরদিন সকালে অনুসন্ধান ডটকম পরিবার কে সাথে নিয়ে দরিদ্র নারী করিমুন নেছার কাছে উপস্থিত হন।
তারপর ঘর করে দেওয়ার জন্য দৈনিক শপথ পত্রিকার প্রতিনিধি মোঃ সবুজ হোসেন ও দৈনিক চাঁদপুর দর্পণ পত্রিকার প্রতিনিধি মোঃ জাহিদুল ইসলাম এবং অনুসন্ধান ডটকম এর সম্পাদক মোঃ তারেক হোসেন তিন সাংবাদিকের হাতে নগদ ৩০ হাজার টাকা তুলে দেন। কাজে হাত দিতেই বুঝতে বাকী নেই আরো টাকার প্রয়োজন, যারা সাহায্য দিবে বলেছেন এদের মধ্যে কিছু প্রবাসী আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন তাদের সাহায্য পেয়ে কাজটি পরিপূর্ণ করতে সফল হই। এই কয়েক দিনে কেহু কাঠ কিনেছে, কেহু টিনের বাজারে গেছেন, কেহু সিমেন্টের পালা কিনেছেন কেহু মিস্ত্রির সাথে কথা বলে চুক্তিবদ্ধ করেছেন। শেষ মাটি কাটা পর্যন্ত তিনজন ব্যক্তি করেছেন, নিজেদের হাতে ঘরের কাঠে মাটিয়া তৈল মেখে দিয়ে আজ কাজ শেষ করে হাজী মোঃ ইসমাইল হোসাইন আখন্দ কে জানান কাজ শেষ হয়েছে পরিশেষে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে ঘরের চাবি তুলে দেন হতদরিদ্র করিমুন নেছার হাতে।
ঘর পেয়ে যে হাসি ফুটেছে করিমুন নেছার মুখে তা পৃথিবীর কোন ভাষায় বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়, সৎ কাজে সমাজকর্মীদের উৎস দেওয়ার সাথে দায়িত্ব নিয়ে সমাজের দরিদ্র বিমোচন করা আমাদের কর্তব্য। আসুন সমাজের দরিদ্রদের সাহায্য করে সমাজকে সুখী ও শান্তিময় সমাজ হিসাবে গড়ে তুলি।
চাঁদপুরনিউজ/এমএমএ/