হাইমচর উপজেলার ২নং আলগী উত্তর ইউনিয়নের মধ্য ভিঙ্গুলিয়া আল-আজিজিয়া জামে মসজিদের ইমাম মাওঃ মোঃ আশ্রাফ আলী কাউছার মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাত থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের দোকানঘর এলাকার মাওঃ তোয়াহা মিয়ার ছেলে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইমামের থাকার রুমের দরজা খোলা, উপরে পাখা চলন্ত অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া আসবাবপত্র এলোমেলো হয়ে পড়ে রয়েছে। তার ব্যবহৃত ২টি মোবাইল সিম পড়ে আছে এবং খাওয়ার প্লেট নিচে পড়ে আছে। এলাকার লোকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান, রাতে আমরা ইমামের পেছনে এশার নামাজ আদায় করেছি। আমাদের দেখা মতে মসজিদের ইমাম সাহেব সবার সাথেই ভাল আচার-আচরণ করতেন। এই এলাকায় তার কোনো শত্রু ছিল না। আমরা দেখলাম তার রুমের সকল আসবাবপত্রসহ কাপড় চোপড় সবই রয়েছে। তার নিখোঁজটা আমাদের কাছে সন্দেহজনক মনে হচ্ছে।
মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ খোকন রাঢ়ি জানান, এশার নামাজ শেষে আমরা বাড়ি চলে গেলে হুজুর তার রুমে চলে যান। ফজরের নামাজের সময় মসজিদে এসে দেখি হুজুরের রুমের দরজা খোলা। তিনি কোথাও নেই। পরে মসজিদের মাইকে আমি ঘোষণা দিলে সবাই মসজিদে চলে আসে এবং ইমামকে চারদিকে খুঁজতে শুরু করে। আমরা অনেক খোঁজাখুজির পর তাকে না পেয়ে তার বাবাকে খবর দিলে তিনি হাইমচরে আসেন।
মসজিদ কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান জানান, আমাদের মসজিদের হুজুর প্রায় এক বছর ধরে এ মসজিদে অত্যন্ত সুনামের সাথে ইমামতি করে আসছেন। তিনি অত্যন্ত ভালো এবং সরল প্রকৃতির লোক ছিলেন। তার রুমে জামা কাপড় সবই রয়েছে। বিছানা এলোমেলো হয়ে আছে। কীভাবে তিনি নিখোঁজ হলেন তা আমরা বলতে পারছি না।
হাইমচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জহিরুল ইসলাম খান বলেন, আমি শুনেছি ভিঙ্গুলিয়া মসজিদের একজন ইমামকে পাওয়া যাচ্ছে না। এখনো কেউ অভিযোগ করতে আসেনি। অভিযোগ করলে তা গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে।