হাইমচর:
টানা বর্ষণের কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে হাইমচরের খাল-বিল, পুকুর-নালা সব পানিতে একাকার হয়ে গেছে। মাছ চাষীরা শেষ রক্ষা কবচ হিসেবে মশারির নেট কিনছে। এ যেনো মশারির নেট কেনার হিড়িক পড়েছে।
গত এক সপ্তাহের টানা বর্ষণে সিআইপি বেড়িবাঁধের ভেতরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় খাল-বিল, পুকুর-নালা সব পানিতে একাকার হয়ে গেছে। মাছ চাষীরা নিরাপদ মনে করে পুকুর পাড়ে স্বল্প বাঁধ দিয়ে হাইব্রিড জাতের তেলাপিয়া ও পাঙ্গাসের চাষ করে। এতে বিপুল সংখ্যক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়। টানা বর্ষণের কারণে এসব পুকুর ভেসে যাওয়ায় শেষ রক্ষা করতে পুকুর পাড়ে মশারির নেট লাগিয়ে মাছ রক্ষা করার চেষ্টা করছে মৎস্য চাষীরা। খালে-বিলে এখন মাছ শিকারীরা অবাধে তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছ শিকার করছে। ধর্ম জাল ও ভেল জালে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ তেলাপিয়া, পাঙ্গাস, রুই ও কাতল জাতের মাছ ধরা পড়ায় মাছ চাষিরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে হাইমচর উপজেলার সব ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করলে তারা তাদের স্ব-স্ব ইউনিয়নের কম-বেশি ক্ষতির কথা জানান। সদর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার আঃ জলিল জানান, এলাকার মানুষের মাছের ক্ষতিতো হয়েছেই, আমার নিজের ঝিলের মাছও ভেসে গেছে। এ বিষয়ে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা একে এম জহিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তার কাছে উপজেলা মৎস্য চাষীদের কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য নেই বলে জানান।