শাহরিয়ার খান কৌশিক ॥
চাঁদপুর হাইমচর উপজেলায় মেঘনা নদীতে গভির রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও হাইমচর পুলিশের যৌথ অভিযানে যাত্রিবাহী লঞ্চ থেকে প্রায় ১০ মণ ইলিশ মাছ আটক করে রাতেই শোর্সের মাধ্যমে তা বিক্রী করার খবর পাওয়া গেছে। জানাযায়, ৩ লক্ষ টাকার মাছ মাত্র ১০ হাজার টাকা বিক্রি দেখিয়ে বাকি টাকা নিজেরাই ভগ বাটোয়ারা করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে হাইমচরসহ বৃহৎ চরাঞ্চলে জেলেদের গুঞ্জন ছড়িয়ে পরেছে। লঞ্চ থেকে জব্দকৃত মাছের পরিমাণ নিয়ে হাইমচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যৎস্য কর্মকর্তা পৃথকভাবে বিভ্রান্তিমূল তথ্য দেওযায় এ গুঞ্জনের ধু¤্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায়, শনিবার রাত ১২ থেকে গভির রাত পর্যন্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ,উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও হাইমচর থানার এস আই আবুল কালাম সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহি লঞ্চে অভিযান চালায়। এসময় তারা দক্ষিন অঞ্চল থেকে আসা বন্ধন ৭ ও শৌরভী লঞ্চসহ কয়েকটি লঞ্চ থেকে অভিযান চালিয়ে ১০ মণ ইলিশ আটক করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। আটককৃত মাছ চাঁদপুরের নামধারী এক সোর্সের মাধ্যর্মে স্পিডবোর্ড যোগে বিক্রী করেবলে জানাযায়।
সুত্র থেকে জানা যায়, চাঁদপুর শহরের পুরান বাজারের সোর্স সাদ্দামের মারফতে প্রশাসন নদীতে অভিজান চালিয়ে মাছগুলো লঞ্চ থেকে আটক করে। আটককৃত মাছগুলো সাদ্দাম স্প্রিডবোর্ড নিয়ে তাদের কাছ থেকে নিয়ে রাতেই মাছের আরধদারারে কাছে ৩ লক্ষ টাকার পরিমাণের মাছ ২ লক্ষ টাকা বিক্রী করে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিক্রিকৃত এ টাকা থেকে সোর্স সাদ্দাম দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রশাসনের লোকদের ম্যানেজ করে বলেও গুঞ্জন উঠেছে। ।
এব্যাপারে উপজেলা ম্যৎস কর্মকত্তা আইয়ুব আলির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নদীতে অভিযান চালিয়ে ৮ মন ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়েছে। আটককৃত মাছগুলো পুরান বাজারের ঠিকাদার সাদ্দামের কাছে নিলামে বিক্রী করা হয়েছে। এদিকে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাত্র দেড় মণ ইলিশ মাছ লঞ্চ থেকে আটক করে ১০ হাজার টাকা বিক্রী করা হয়েছে। মৎস্য কর্মকর্তার দেওয়া ৮ মণ মাছের তথ্য বলার পর তিনি বলেন, কি কারণে মাছের পরিমান বেশি বলেছে তা একটু জেনে নেই। মাছ বিক্রীর টাকা ভাগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি তা সম্পূর্ণ অস্বিকার করেন।
জেলা মৎস্য কর্মককর্তা সফিকুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন নদীতে মাছ ধরার বিষটি আমার জানা নেই। তবে নির্বাহী কর্মকর্তা যেহুতু ছিল তাহলে তিনিই ভাল জানেন। নীলকমল নৌ ফাড়ির ইনচার্জ রহমান জানায়, রাতে ম্যৎস কর্মকত্তা ও নির্বাহী কর্মকত্তা হাইমচর থানা পুলিশ নিয়ে নদীতে অভিজানের বিষয়টি প্রথমে জানতে না পারলেও তা পরে জানতে পেরেছি। তবে নৌ পুলিশকে এবিষয়ে কোন অবগত করেনি।