
হাইমচরে দীর্ঘ দিন থেকে চলে আসা বিএনপির গ্রুপিং আবারো চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ আবেদ মুনসুর বিশ্বাস ও সদস্য সচিব আমিন উল্লাহ বেপারীর নেতৃত্বাধীন আহ্বায়ক কমিটির বিপক্ষে রয়েছেন যুগ্ম আহ্বায়ক ইছহাক খোকন ও সাবেক সদস্য সচিব সরদার আঃ জলিল মাস্টারের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী গ্রুপ। আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে ইতিপূর্বে বিদ্রোহী গ্রুপ মিছিল-সমাবেশ, জেলা বিএনপি সেক্রেটারীর বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল ও কুশপুত্তলিকা দাহসহ আন্দোলন করেছে। আলগী উত্তর ইউনিয়নের আনন্দ বাজারে ২২ অক্টোবর ইউনিয়ন বিএনপির সংগ্রাম কমিটি গঠনের লক্ষে মঞ্চ নির্মাণ করলে ঐ দিনই বিদ্রোহী গ্রুপের স্থানীয় বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা মঞ্চ ভাংচুরসহ পাল্টা মহড়া দেয়। এতে উভয় গ্রুপের মাঝে নতুন করে দ্বন্দ্ব প্রকাশ পেলে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন-অর-রশিদ পাটওয়ারীর মধ্যস্থতায় তার বাসভবনে গতকাল ২৪ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে সমঝোতা বৈঠক বসলেও কোনো গ্রুপই ছাড় না দেয়ায় সিদ্ধানত্দ ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আমিন উল্লাহ বেপারী জানান, সমঝোতার মাধ্যমে দলকে এক ও অভিন্ন করে আন্দোলনের প্রস্তুতি চলছে। বিদ্রোহী গ্রুপের নেতা জেলা বিএনপির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ইউপি চেয়ারম্যান সরদার আঃ জলিল মাস্টার জানান, আওয়ামী লীগের এজেন্টদের সাথে কোনো সমঝোতা নয়। মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা তার নেতৃত্বে সরকার বিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে রয়েছে। কোনো অতি উৎসাহীর অপতৎপরতা দল মেনে নেবে না।
হাইমচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, বিএনপি দু’ গ্রুপের সকল অপতৎপরতা রুখে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদা প্রস্তুত। কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা করতে দেয়া হবে না।
বিএনপির ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জের শেষ পর্যন্ত সরকার বিরোধী আন্দোলন নাকি নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে এ নিয়ে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে হাইমচরের সর্বত্র।