শাহারিয়ার খান কৌশিক ॥
চাঁদপুর জেলাধীন হাইমচর উপজেলার চরভাঙ্গা গ্রামে স্বামী ও শ্বাশুড়ির নির্যাতন সইতে না পেরে গৃহবধু সালমা আক্তার (১৮) বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। সোমবার গৃহবধুর লাস ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে পুলিশ হস্তান্তর করেছে। জানা যায়, চরভাঙ্গা গ্রামের রুবেল গাজীর সাথে আলগী বয়েজ স্কুল সংলগ্ন মুক্তার কবিরাজের মেয়ে সালমা আক্তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য স্বামীর অমানষিক নিযার্তন চালায়। গত রবিবার বিকেলে সালমা আক্তার তরকারিতে তেল বেশি দেওয়ায় তার শ্বাশুড়ি ক্ষিপ্ত হয়ে সালমাকে মারধর করে। পরে রুবেল জেনে তার স্ত্রীকে পুনরায় শারীরিক নির্যাতন চালায়। এতে সেই অপমান ও নির্যাতন সইতে না পেরে কীষনাটষক ঔষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাকে বাড়ির মানুষ উদ্ধার করে দ্রুত হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখান থেকে রাতে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। মৃত্যুর খবর শুনে তার মা, রেনু বেগম ও বোন রুবি তাদের আত্মচিৎকার ও আহাযারি করতে থাকে। খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার এস.আই মাসুদ শামীম হাসপাতাল থেকে লাস উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসে। ময়নাতদন্ত শেষে তার লাস স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করার পর পারিবারিক কবরস্থানে নিয়ে দাফন করা হয়। এই ঘটনায় হাইমচর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।