চাঁদপুর হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীতে প্রতিনিয়ত জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়, জেলে নৌকাতে ডাকাতি ও জাল ও মাছ ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া যায়। হাইমচর মেঘনা নদীতে নিরিহ জেলেদের উপর মেঘনার স¤্রাট জলদস্যু খোকা পেদা অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। এরূপ বহু অভিযোগের ভিক্তিতে গত ১১ সেপ্টম্বর হাইমচর থানার এস আই মো. আবুল কাসেম ফোর্স নিয়ে ঈশানবালা খোকা পেদার বাড়ির থেকে রাত আনুমানিক ৩টায় তাকে আটক করে।
আটক জলদস্যু খোকার বিরোদ্ধে তিন জেলে মোঃ কাশেম পিতা. আঃ হক বেপারী, আজাহর ইসলাম পিতা. সুলতান মাহমুদ, বিল্লাল খন্দকার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। তারা খোকা পেদসহ আরও ১০/১২ জনকে অজ্ঞত রেখে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০৩, তাং ১১/০৯/২০১৪ ইং। আটককৃত জলদস্যু খোকা পেদা বিচার কার্যের জন্য আদালতে প্রেরন করা হয়।
জানাযায়, হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের ঈশানবালা গ্রামের মোঃ খোকা পেদা পিতাঃ মৃতঃ সরফ আলী মেঘনায় নদীতে জেলেদের হুমকি দিয়ে তাদের কাছ থেকে মারধর করে চাঁদা আদায় করার কাজে লিপ্ত থাকতেন। হাইমচরের ঈশানবালায় খোকা পেদা একাধিক নামে পরিচিত আছেন বলেন এলাকার লোকজন জানাযায়। মেঘনা নদীতে খোকা পেদা গত ২২ আগষ্ট এক জেলেকে মারধর করে নৌকায় থাকা জাল ও মাছ ছিনিয়ে নিয়ে যান। তার কিছু দিন পর ১১ ই সেপ্টম্বর আরেকটি ঘঠনার পূর্বাবৃত্তি হয়। হাইমচর থানার চাঁদাবাজি মামলার বাদী মোঃ কাশেম এই প্রতিনিধিকে জানান খোকা পেদার এলাকার বহু নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন জন মামলা হামলা দিয়ে হয়রানির স্বীকার করেন। আমরা তার জন্য নদীতে শান্তিতে মাছ ধরতে দেয়না, মাছ ধরা অবস্থায় গিয়ে টাকা চায় না দিতে পারায় আমাকে ও আমার জেলেদের উপর মারধোর করে নৌকায় থাকা প্রায় ৫০ কেজি ইলিশ মাছ লুটপাট করে সে ও তার বাহিনীর লোকজন ছিনিয়ে নিয়ে যান। হাইমচরের মেঘনায় যে সকল জেলে আমার মত মাছ ধরে তারা কেউ নিরাপদ নয় তাই আমরা জেলে সমাজ তার উপযুক্ত বিচার চাই।
এই ব্যাপারে মামলা আয়ু মোঃ আবুল কাশেম জানান আমরা আসামী গ্রেফতার করেছি। তার বিরোদ্ধে মেঘনা নদীতে চাঁদাবাজীর অভিযোগ রয়েছে। আসামীকে আইনি প্রক্রিয়ার জন্য আদালতে প্রেরন করা হয়।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৫ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।