প্রতিনিধি
হাইমচরে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান প্রশ্নবিদ্য হয়ে পড়েছে। রূপালী ইলিশ রক্ষায় সরকার মেঘনাকে ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করলেও প্রশাসনের উদাসীনতার কারণের মেঘনা নদীতে জেলেদের মাছ ধরার ধুম পড়ে গেছে। দেখলে মনে হয়না অভয়াশ্রম কার্যক্রম চলছে! পূর্বেও মতোই জেলেরা প্রকাশ্য দিবালোকে ও রাতে বাতি জ্বালিয়ে জাটকাসহ অন্যান্য মাছ শিকার করছে। অনেকটা দায়সাড়াভাবে প্রশাসন মাঝে মধ্যে কিছু জেলেকে ধরছে ও ছাড়ছে। অনেক সময় লোক মারফত খবর পেয়ে মিডিয়াকর্মীরা দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কাছে তথ্য জানতে চাইলে তারা তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। উপজেলা মৎস্য অফিসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তার কাছে অভিযান, জেলে আটক ও তাদের ছেড়ে দেয়ার তথ্য জানতে চাইলে তিনি যেনো আকাশ থেকে পড়েন এমন ভাবই দেখান। থানা পুলিশ, উপজেলা টাস্ক ফোর্স, কোস্টগার্ড এ তিন বিভাগ জাটকা সংরক্ষণে কাজ করলেও তাদের মাঝে সমন্বয়হীনতা পরিলক্ষিত হয়। অভিযানে নামার পূর্বেই জাটকা শিকারি জেলেদের মোবাইলে জানিয়ে দেয় নিয়ন্ত্রণকারী একটি চক্র। এই চক্রটি প্রশাসনসহ সকল দিক ম্যানেজ করে বলে সর্বস্তরে আলোচিত হচ্ছে।
গত ৩ এপ্রিল হাইমচরে সংবাদকর্মীর একটি টিম মেঘনার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে সংবাদ সংগ্রহ করে। জানা যায়, জেলেদের বর্তমান সরকার নানান সুবিধা দেয়া সত্ত্বেও মাছ ধরা থেকে বিরত রাখায় ব্যর্থ হয়েছেন উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিট বিভাগ। ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মেঘনা নদীতে সকল প্রকার জাল পেতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থানীয় ও বিভিন্ন জেলা থেকে জেলেরা এসে মেঘনা নদীতে জাটকা মাছ নিধন করছেন। আর মেঘনা নদীতে যতো জেলে নৌকা মাছ ধরে ততো মাছ ব্যবসায়ী, আড়তদাররা গুনছে লাখ লাখ টাকা।
গতকাল শুক্রবার হাইমচরে মেঘনা নদীতে সরজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায় পুলিশ, মৎস্য অফিস, ফাঁড়ি, থানা পুলিশ ও কোস্ট-গার্ড অভিযানে থাকা সত্ত্বেও জেলেরা পিপিলিকার মতো নদীতে জাল পেতে বসে থাকতে দেখা যায়। জেলেদের আড়ৎদারদের সাথে আলাপকালে তারা বলেন, আমরা পুলিশকে টাকা দিয়েছি তাই আমাদের কে ধরবে না। হাইমচরে কর্মরত সাংবাদিকরা কয়েকদিন যাবৎ চরভৈরবী কাটাখালী, রুলামিন মেম্বার ঘাটে জাটকা মাছ আটক করে পুলিশের সহায়তা চাইলেও পাওয়া যায়নি। সাংবাদিকরা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তারা বলেন কোন লাভ হবেনা। এই ভাবে প্রশাসনকে মেনেজ করে জাটকা নিধন করতে থাকলে ইলিশের সম্পদ ধ্বংস হবে। হাইমচরের কাটাখালি মাছঘাট, নীলকমল মাছঘাট, হাইমচর ঘাট, চরভৈরবী, কাটাখাল, রুলামিন মেম্বার মাছঘাটে ভোর ৫টায়, সন্ধ্যায় ৬টায় থেকে রাত ১১টায় পর্যন্ত মাছ কেনাবেচা করছে যেনো দেখার কেউ নেই।
শিরোনাম:
বুধবার , ৯ জুলাই, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৫ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।