হাজীগঞ্জের টোরাগড় দু’দিন যাবত সংঘর্ষ চলছে। গতকাল সকাল থেকে বিএনপির কর্মীরা টোরাগড়-আলীগঞ্জ রাস্তার দু’পাশে গাছ কেটে রাস্তা অবরোধ করে রাখে। পুলিশের পক্ষ থেকে বহুবার বলা হলেও বিএনপির কর্মীরা রাস্তা থেকে সরে না যাওয়ায় গতকাল বিকেলে দায়িত্ব প্রাপ্ত ম্যাজিস্টেট সাইদুজ্জামান ও উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা হোসনা আফরোজাসহ ৩০/৪০ জন পুলিশ ফোর্স টোরাগড় ও আলীগঞ্জ থেকে বিএনপির কর্মীদেরকে রাস্তা থেকে সরে যেতে বলে। কিন্তু বিএনপির কর্মীরা রাস্তা না ছেড়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও বোতল নিক্ষেপ করা শুরু করে। পুলিশ বাধ্য হয়ে বিএনপির কর্মীদের উপর প্রথমে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। কিন্তু বিএনপির কর্মীরা পিছু না হটলে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে বিএনপির কর্মীরা পিছু হটে। এভাবে প্রায় ২ঘন্টা চেষ্টার পর পরিস্থিতি শান্ত হলে পুলিশ চলে আসে।
সংঘর্ষের ঘটনার সময় পুলিশ ও বিএনপির ২০জন কর্মী গুরুতর আহত হয়। আহতদের কয়েক জনের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ার কারণে কুমিল্লা নেয়া হয়েছে বলে জানাযায়। এছাড়াও দুপরের দিকে শাহরাস্তির সাংবাদিক আমরুজ্জামান সবুজ হাজীগঞ্জ থেকে স্থানীয় পত্রিকা নিয়ে টোরাগড়ের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় অবরোধকারিদের কাছে সাংবাদিক পরিচয় দেয়া হলেও সাংবাদিক আমরুজ্জামান সবুজের মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় তাকেও মারধর করা হয়। এ ঘটনায় হাজীগঞ্জের সাংবাদিকরা তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায় এবং এ ঘটনার সাথে জড়িতদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তারের অনুরোদ জানায় প্রশাসনের কাছে।
এছাড়াও আওয়ামীলীগ- বিএনপির অনেক দোকানপাট ভাংচুর করা হয়েছে বলে দোকান মালিকরা জানান।
এদিকে টোরাগড়ের বিএনপির কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড়ধরণের সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২৯ ডিসেম্বরের ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের নাম উল্লেখ করে ৯৬জনসহ অজ্ঞাত নামা ৩/৪শত নেতাকর্মীদের আসামী করে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং ২৩/২০১৩।
গত ২৯ ডিসেম্বর শহর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মনির হোসেন মিঠুকে জখমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মাঝেও উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ রিপোট লেখা পর্যন্ত উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ আলম বলেন, আমরা অবরোধকারিদেরকে রাস্তা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বললেও তারা রাস্তা না ছেড়ে আামদের পুলিশ ফোর্সের উপর ইটপাটকেল ,বোতল এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমন করে। তখন বাধ্য হয়ে আমরা টিয়ারসেল ও রাবারবুলেট নিক্ষেপ করি। বর্তমানের আইনশৃঙ্খলা আামদের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। তবে রাস্তার গাছ সরানোর জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৬ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।