অপহরণের শিকার দুজন হলেন হাজীগঞ্জ উপজেলার ৭নং বড়কুল ইউনিয়নের জাকনি পাটোয়ারী বাড়ির মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান (২৭) ওরফে জসিম ও একই বাড়ির ফারুক হোসেন পাটোয়ারীর ছেলে আল-আমিন (১৯)। এরা পরস্পর চাচাতো-জেঠাতো ভাই। তদন্তের স্বার্থে মামলার অনেক তথ্য না দিয়ে মামলাটি বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন বলে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম জানিয়েছেন।
সরজমিনে পাটোয়ারী বাড়িতে গেলে অপহৃত মিজানুর রহমানের মা রওশনারা বেগমের বক্তব্য ও থানায় দায়ের করা মামলার সূত্রে জানা যায়, কাউকে কিছু না বলে গত মাস তথা ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মিজানুর রহমান। একইভাবে একই দিন বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন ফারুক হোসেন পাটোয়ারীর ছেলে অনার্সে ভর্তিচ্ছুক আল-আমিন। এ দুজন একই দিন বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়ার পরে আর তাদের খোঁজ নেই।
রওশনারা জানান, দীর্ঘ প্রায় ১ মাস ধরে ছেলেকে বিভিন্ন স্থানে অনেক খুঁজেছি, কোথাও পাইনি। এরই মধ্যে চলিত মাসের ৩ তারিখে আমার মোবাইলে +০০৬০১৬৪৮২২৯৮৫ নাম্বার থেকে একটি ফোন আসে। ঐ ফোনে অপর প্রান্ত থেকে মিজান ও আল আমিনকে মারধর করে কান্নার আওয়াজ আমাকে শুনানো হয়। ঐ নাম্বার থেকে বলা হয় এ দু ছেলেকে ছাড়িয়ে নিতে হলে তিন লাখ টাকা করে দিতে হবে। এ ফোনের ১ দিন পরেই নিখোঁজদের চাচা আবু তাহেরের মুঠোফোনে আবার ফোন করে একইভাবে টাকা চাওয়া হয়। পরে অন্যরা ঐ ফোন নম্বরটি মিলিয়ে দেখেন এটি মালয়েশিয়ার একটি ফোন নাম্বার। এ থেকেই এ পরিবার ধারণা করছে তাদের সন্তানরা মালয়েশিয়ায় অপহরণের শিকার হয়েছে।
এরই মধ্যে একদিকে টাকা দেয়ার কথাবার্তা চলে অন্যদিকে ৭ মার্চ নিখোঁজদের চাচা আবুল বাসার পাটোয়ারী নিখোঁজ ডায়েরি করেন হাজীগঞ্জ থানায়। জিডির সূত্র ধরে পুলিশ বেশ কটি বিষয় নিশ্চিত হয়ে ১০ মার্চ জিডিকে মামলা হিসেবে নেয়। অপহরণকারীদের বিষয়টি নিশ্চিত হবার পরেই পুলিশ ইতিমধ্যে মামলার অনেকখানি এগিয়েছে বলে জানায়।
নিখোঁজ দুজনের চাচাতো ভাই আজমীর পাটোয়ারী বলেন, প্রথমে তারা টাকা নেয়ার জন্য একটি বিকাশ নাম্বার দেয়। আমরা বিকাশ নাম্বারে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে পটিয়া ইসলামী ব্যাংক শাখার ৩৩২৬৬ একাউন্ট নাম্বারটি দেয়া হয়।
মামলার বাদী আবুল বাসার পাটোয়ারী জানান, পুলিশ কাজ করছে। আমার কাছে তথ্য চাইলে তা দিয়ে আমি সহযোগিতা করি।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম চাঁদপুর কণ্ঠকে বলেন, ঐ ব্যাংক একাউন্ট এবং মোবাইল কললিস্টের সূত্র ধরে আমরা এগুচ্ছি।