হাজীগঞ্জের ধড্ডা গ্রামে সংখ্যালঘুর বসতঘর পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাৎক্ষণিক চাঁদপুর পুলিশ সুপার মোঃ আমির জাফরের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। বর্তমানে অসহায় সংখ্যালঘু পরিবারসহ অন্যান্যদের নিরাপত্তা পুলিশ সুপারের নির্দেশে পাহারা দিচ্ছে থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১১ জানুয়ারি শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ১টায় হাজীগঞ্জ উপজেলার ১১নং পশ্চিম হাটিলা ইউনিয়নের ধড্ডা মালি বাড়ির শ্রী হরিপদ মালীর ছেলে নিরাঞ্জন চন্দ্র মালির বসতঘরে। এ ঘটনা ক্ষতিগ্রস্থ নিরঞ্জন চন্দ্র মালি বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিদের আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
শ্রী হরিপদ মালীর বড় ছেলে চন্দ্রন মালী জানান, শনিবার দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা বসতঘরের চার পাশে খড়ের গাঁদার মধ্যে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় পার্শ্ববর্তী ভূঁইয়া বাড়ির সফিউল্যাহ্ ভূ্ইঁয়া আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পায়। সে ডাক চিৎকার দিয়ে থাকলে আমাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘর থেকে বের হলে দেখতে পাই নিরঞ্জনের বসত ঘর আগুনে পুড়ছে। এতে ঘরের ভেতর কেউ না থাকলেও সম্পূর্ণ ঘরটি ভস্মিভূত হয়। পরে আসে পাশের লোকজন জড়ো হতে থাকে। কিন্তু কারই সম্ভব হয়নি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে।
এছাড়াও একই বাড়ির ৬/৭টি বসতঘরের চার দিকে খড়ের গাঁদায় পেট্রোল ঢালা হয়েছিল। ওই বসতঘরগুলো ভাগ্যক্রমে আগুন থেকে রক্ষা পায়। রাতেই হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে খড়ের গাঁদাগুলো উদ্ধার করে থানা আলামত হিসেবে নিয়ে আসে।
ক্ষতিগ্রস্ত নিরঞ্জন চন্দ্র মালি চাঁদপুর বার্তাকে বলেন, রাতে বাড়ির সবকটি ঘরে পেট্রোলে ছিটিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। বাড়ির সবাই দুর্বৃত্তদের আলামত বুঝে উঠার আগেই তার ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমি অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিদের আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি।
চাঁদপুর পুলিশ সুপার মোঃ আমির জাফর, হাজীগঞ্জ এএসপি সার্কেল আবু হানিফ ও হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ শাহ আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনর্চাজ মোঃ শাহআলম জানান, রাত ১টা থেকে দেড়টা’র মধ্যে দুর্বৃত্তরা সংখ্যালঘুর বসতঘরে আগুন দিয়েছে। আমরা তাদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশী পাহারার ব্যবস্থা করেছি। তবে ক্ষতিগ্রস্থ নিরঞ্জন চন্দ্র মালী অজ্ঞাত নামা কিছু আসামী করে মামলা দায়ের করে। আমরা তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের সনাক্ত ও আটক করবো।
শিরোনাম:
সোমবার , ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৫ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।