হাজীগঞ্জের পাঁচৈ গ্রামে ৪ বছর ধরে মাছ চাষে শত বছরের পুরনো ১১০ শতক দিঘী জলাবদ্ধতায় পড়ে আছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন।
জানা যায়, উপজেলার ১০নং গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঁচৈ মজুমদার বাড়ির সামনে ১১০ শতাংশ দীর্ঘ এ দিঘীতে প্রতিবছর মাছ উৎপাদনের মাধ্যমে আয় হত লক্ষ লক্ষ টাকা। মজুমদার বাড়ির বশির মজুমদার, কবির ও শরীফ গং এবং আব্দুল মওকিত মজুমদার গং পাশ্ববর্তী বেপারী বাড়ির আজিজুল হক ও কাজলগংরা মিলে ১১০ শতাংশ দিঘীর মূল মালিক। পরবর্তীতে ২০১১ সালে কাজল গংদের কাছ থেকে আওয়ামী লীগ নেতা জসিম মাত্র ৯ শতাংশ ভূমি ক্রয় করার পর থেকেই প্রায় ৪ বছর ধরে জলাবদ্ধতায় দিঘীর মধ্যে আর মাছ চাষ হচ্ছেনা।
গত মঙ্গলবার ২ ডিসেম্বর সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঐতিহ্যবাহী দীর্ঘ দিঘীটির মধ্যে বড় বড় কচুরি পেনা জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির দৃশ্য। পানি পঁচে ময়লা আবর্জনা সৃষ্টি হয়ে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় দিঘির চারপাশে বসবাসরত পরিবার গুলো পরিবেশ দূষনে ভূগছে। কথা হয় মজুমদার বাড়ির বসবাসরত দিঘীর মালিক ডা. মাহ্বুবুর রহমান ও কবির মজুমদারের সাথে। তারা সাংবাদিকদের বলেন, এ দিঘীটি আমাদের শত বছরের নাম করা দিঘী যা বর্তমানে হারিয়ে যেতে বসেছে। তারা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পাঁচৈ মাদ্রাসা বাড়ির হাজী জসিম উদ্দিন মাত্র ৯ শতাংশ অংশ ক্রয় করার পর থেকে এ জলাবদ্ধতা লেগে আছে। এর কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, ২০১২ সালে এ দিঘীতে ড্রেজার বসায় প্রভাবশালী নেতা জসিম। আমরা এতে বাধা দিলে সে ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন করতে না পেরে জোরপূর্বক ক্ষমতা বিস্তারের ফলে বর্তমানে এ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে রেখেছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাজী মোঃ জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আমি যাদের কাছ থেকে সম্পত্তি ক্রয় করেছি আমিসহ তাদেরকে বাদ দিয়ে দিঘীর অন্যান্য মালিকগণ একক সিদ্ধান্তে দিঘিটি ইজারা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে আমরা সকলে বাধা প্রধান করি। আমরা চাই সকলের সিদ্ধান্তে ইজারা এবং সর্বোচ্চ ইজারাদারকে দিঘীটি দেওয়া হোক। কিন্তু ওই সকল মালিকরা তা চাননি বিধায় এভাবে দিঘিটি জলাবদ্ধতায় পড়ে আছে। তবে তার বিরুদ্ধে পক্ষগণ যে অভিযোগ তুলেছে তা সত্য না মিথ্যা এর আগেই জবাব না দিয়ে মোবাইল ফোনের লাইনটি কেটে দেন।
শিরোনাম:
বুধবার , ৩০ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১৭ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।