……………….যুগ্ন মহাসচিব সৈয়দ আহম্মদ মজুমদার
গাজী মোঃ নাছির উদ্দিন
মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়েরা আপনারা প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রানিত করবেন। আমরা মুক্তিযোদ্ধা তাই রাজাকারদের সাথে আত্মীয়তা করবো না। এবং আমাদের সন্তানদেরকেও করবো না। মানবতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই হবে। একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও স্বাধীনতা বিরোধীরা কোন অবস্থায় এ বিচার কার্য বাধাগ্রস্ত করে রাখতে পারবে না। একাত্তরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা এনেছি। প্রয়োজনে অরেকটির যুদ্ধোর মাধ্যমে এ দেশ থেকে মানবতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিতাড়িত করবো। বিভিন্ন সময় এ দেশে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্ঠা করা হয়েছে। জাতি এদের কোনদিন ক্ষমা করবেনা। নৌ কমান্ড অপারেশনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের পরিচিতি পায়। প্রত্যাক বাঙালিদের মধ্যে পলাশি যুদ্ধের চেতনা কাজ করবে। আপনারা এ প্রত্যন্ত অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধোর বিজয় মেলার আয়োজন করে সফল হয়েছেন এটা আমাকে অভিভূত করেছে। আগামীতেও আপনারা এ অনুষ্ঠান আয়োজন করবেন এ আশা বাদ ব্যক্ত করেন নৌ কমান্ডো বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের যুগ্ন মহাসচিব সৈয়দ আহম্মদ মজুমদার। গত শুক্রবার ২৮ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জ উপজেলার ৩ নং কালোচোঁ উত্তর ইউনিয়নের পিরোজপুর হাইস্কুল মাঠে দুই দিন ব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয় । গতকাল ২৯ ডিসেম্বর, শনিবার তা সমাপ্ত হয়। আলোচনা সভায় ও সম্মামনা অনুষ্ঠানের প্রদান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি। মেলা উদ্বোধন এর পর ইতিহাস কথা কয় শীর্ষক প্রদর্শনী , মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র ও প্রামান্য চিত্র প্রদর্শনীর সূচনা করেন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শরীফুল ইসলাম পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে এবং মেলার পরিচালনা সচিব সাহাবউদ্দিন মজুমদার এর পরিচালনায় মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন। এছাড়া অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, হাজীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আবু তাহের বিএসসি, সৈয়দ আহমেদ মজুমদার প্রমুখ। গত ২৯ ডিসেম্বর শনিবার রাতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র ও প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন হয়। এর আগে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এবারের বিজয় মেলা পরিষদের উদ্যোগে আগামী এক বছরের কর্মসূচী হাতে হাতে নেওয়া হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য রয়েছে ওই ইউনিয়নের ১০ জন দু:স্থ অসহায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে পূর্ণবাসনের লক্ষে প্রতিজনকে ১টি করে রিক্সা প্রদান। বর্ষা মৌসুমে এক হাজার নিম গাছের চারা লাগানো, গরীব অসহায় ২৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্ভব্য চিকিৎসা ব্যবস্থা করা, মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের প্রশাসনিক সহায়তাকরণ ও রাজাকার আলবদরদের কার্যক্রম সম্পর্কে সচেতন করা ও ঘৃণার চোখে দেখার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।