সাখাওয়াত হোসেন মিথুনঃ
হাজীগঞ্জে অনিয়ম ও অব্যবস্থানপনার মাধ্যদিয়ে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষা সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে পরিচালনাসহ পরীক্ষায় অসদুপায় প্রতিরোধে যথাযথ তদারকি নিচ্ছিত করার জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত কেন্দ্র সচিব ও প্রতিনিধি নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ২টি কেন্দ্রে নিয়ম বহিভূত ভাবে প্রতিনিধি নিয়োগ করায় ওই সব কেন্দ্রে অংশ গ্রহনকারী পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে হতাশা ও সংঙ্কা বিরাজ করছে। একটি কেন্দ্রে দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিনিধির মেয়ে পরীক্ষার্থী ও অপর কেন্দ্রটি প্রতিনিধির নিজ এলাকা। উপজেলায় জেএসসি ৭টি কেন্দ্রে ৩২টি বিদ্যালয়ের ৪ হাজার ২৬৪ জন ছাত্র-ছাত্রী এবং জেডিসিতে ২২টি মাদ্রাসার ১ হাজার ৫৯৫ জন ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষা অংশ গ্রহন করবে। ৩টি কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক না থাকায় সরকারী কর্মকর্তাগণ কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। কেন্দ্রগুলো হচ্ছে হাজী-১ হাজীগঞ্জ পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা বাসু দেবনাথ, কেন্দ্র-২ হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম, কেন্দ্র-৪ রাজারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লিয়াকত আলী কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কেন্দ্রগুলিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ এমরান হোসেন ১০ জন সরকারী কর্মকর্তাকে কেন্দ্র প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেছেন। দায়িত্ব প্রদান করতে গিয়ে তিনি গত ৩০ অক্টোবরের স্বাক্ষরিত সারক নং ০০.৫৩০.০০০.০০০.০০৪.০৮৪.২০১২-৮৩৬(২৩) অফিস আদেশটি গতকাল পর্যন্ত ৩ বার সংশোধন করে এ অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন।
জেএসসি কেন্দ্র হাজী-১ হাজীগঞ্জ পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজে সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা (পদাবিক) মনজেলুর রহমানকে প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে এই কর্মকর্তাকে পরিবর্তন করে অনিয়মের মাধ্যমে একই কার্যালয়ের সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা নায়েব আলী কে জেএসসি কেন্দ্র-৫ পালিশার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরিবর্তীতে কেন্দ্র হাজী-১ হাজীগঞ্জ পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজে প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তনের কারণ সম্পর্কে জানা গেছে সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা নায়েব আলী মেয়ে জান্নাতুল নাবিলা এই কেন্দ্ররই পরীক্ষার্থী। পূর্বের দায়িত্ব প্রাপ্ত মনজেলুর রহমানকে কেন্দ্র-৫ পালিশারা উচ্চ বিদ্যালয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
জেএসসি হাজীগঞ্জ-৪ রাজারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র ও জেডিসি হাজীগঞ্জ-৩ কেন্দ্রে রাজারগাঁও ফাজিল মাদ্ররসায় উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মমিনুল হককে প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এই কর্মকর্তা ঐ ইউনিয়নেই তার নিজ বাড়ি। অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় ঐ এলাকার তার নিকট আত্মীয়-স্বজনদের ছেলে-মেয়ে অংশ নিচ্ছে। ২টি কেন্দ্র দু’জন প্রতিনিধি দেওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ১ জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। অনিয়ম এবং স্বজনপ্রীতির বিষয়টি সু-স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, একই এলাকার লোক কেন্দ্র প্রতিনিধির দায়িত্ব নেয়ায় তার নিকট আত্মীয়-স্বজনদের পরীক্ষার্থীরা বাড়তি সুযোগ পাবে। যার ফলে প্রকৃত পরিশ্রমী ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও পরীক্ষার্থীর পিতা নিজ কেন্দ্রে প্রতিনিধি হিসেবে কোন বিধিতে দায়িত্ব পালন করবেন তা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে।
শিরোনাম:
শনিবার , ২৬ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১৩ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।