সাখাওয়াত হোসেন মিথুন (হাজীগঞ্জ)ঃ
হাজীগঞ্জে স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতি গ্রহণের হার তুলনামূলকভাবে অনেক কম। এ ধরনের পদ্ধতি গ্রহণে বেশিরভাগ দম্পতিরই রয়েছে অনীহা। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারে লাগাম দিতে হলে দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতি ব্যবহারে দম্পতিদের উৎসাহী করতে হবে। এদিকে র্দীর্ঘমেয়াদি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ না করা এবং জন্মনিয়ন্ত্রণের সঠিক পদ্ধতি বেছে না নেয়ায় বিবাহিত নারীদের মধ্যে বাড়ছে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের ঝুঁকি। পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী দেশে এখনো মেয়েদের গড় বিয়ের বয়স ১৬ দশমিক ৪ এবং এক-তৃতীংশ মহিলা ২০ বছর বয়স হওয়ার আগেই মা হয়ে যায়। ২০ বছর বয়স হওয়ার আগেই সন্ত্মানের মায়ে পরিণত হওয়া এসব নারীদের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি বা স্থায়ী পদ্ধতি নেয়াটাই সবচেয়ে নিরাপদ ও কার্যকর বলে মনে করেন বিশেজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন সরকারের উচিত এ ক্ষেত্রে বিশেষ প্রচারাণা ও আগ্রহ তৈরি করা। পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ গোলাম মোস্ত্মফা সাহেব আমার চাঁদপুরকে বলেন পরিবার পরিকল্পনা ব্যবস্থপনায়ও এখন পরিবর্তন দীর্ঘমেয়াদী আনা দরকার এবং এব্যাপারে মার্ঠ কর্মীদেরর বিভিন্ন মটিভেশন ট্রেনিং দিয়ে মার্ঠ কর্মীদের সহযোগীতা চলছে। একটি ধারণা আছে দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতি গরিবদের জন্য। এ ভুলটিও ভেঙে দিতে হবে সচেতন মহলের দাবী। স্বল্পমেয়াদী ব্যবস্থাগুলোর পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থাগুলো ওপরও জোর দিওয়া। সমস্যা হচ্ছে বন্ধ্যত্বকরণ আইইউডি বা ইমপ্ল্যান্টের মতো পদ্ধতি অনেক বেশি কার্যকর হলেও এ বিষয়ে সচতনতা তৈরির জন্য নির্দিষ্ট কোন প্রকল্প নেই। দম্পতিদের দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতি গ্রহণে উৎসাহী করতে একটি পরিকল্পনা নিয়ে এগোনো প্রয়োজন।
শিরোনাম:
শনিবার , ২৬ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১৩ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।