এম. সাখাওয়াত হোসেন মিথুন
নেশার সাগরে ভাসছে হাজীগঞ্জ উপজেলা। এ উপজেলাগুলোতে যত্রতত্র পাওয়া যাচ্ছে নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট, ফেনসিডিল, গাজা ও হেরোইনসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য। সহজলভ্য হওয়ায় এ উপজেলায় মাদকসেবীর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে খেটে খাওয়া দিনমজুর কেউই বাদ নেই মাদক সেবন থেকে। চাহিদা থাকায় মাদক ব্যবসায়ীরা দ্বিগুন দামে বিক্রি করছে ফেনসিডিল বিশেষ করে ইয়াবা ট্যাবলেট। এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রভাবশালী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থাকা নেতাকর্মী ও আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় সদস্যরা। এ কারণে নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট ও ফেনসিডিলের রমরমা ব্যবসা ও সেবন চলছে এ এলাকায়। পুলিশ মাঝে মধ্যে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে মাদক সেবীদের কোর্টে চালান করে দেয়। কিন্তু ধরাছোয়ার বাইরে থেকে যায় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকা চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ীরা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, হাজীগঞ্জ উপজেলার এনায়েতপুর, আলীপুর, করিমেরবাগান, সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকা, বাদশা হোটেলের পিছনে, এনায়েতপুর হাট খোলা, হাসপাতালের আশপাশের এলাকা, উপজেলা সদর, বেবিস্ট্যান্ড, মকিমাবাদ উত্তর, জিয়ানগর, বেলচোঁ, ডিগ্রি কলেজ এলাকা। হাজীগঞ্জ উপজেলার চৌরাস্ত্মার মোড়, বাসস্ট্যান্ড, বালুরমাঠ, বলাখাল ষ্টেন, বাকিলা স্কুল মাঠ, স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ওে পেছনে, উয়ারুক মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। নাম প্রকাশে না করার শর্তে এক মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক মামলায় জামিনে মুক্তি পাওয়া কয়েকজন এ প্রতিবেদককে জানান, টোরাগড় ও টার্মিনাল অবাধে চলছে মাদক ব্যবসা। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রক অধিদফতরের অভিযানে যারা গ্রেফতার হন তারা খুচরা ব্যবসায়ী, কোন অভিযানেই বড় বিক্রেতাদের খোঁজা হয় না। বছরে দু’একবার এ উপজেলাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে দু-একজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করলেও বড় বড় ব্যবসায়ীরা বহাল তবিয়তে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মাসিক মাসোহারা ভিত্তিতে এবং বছরের অধিকাংশ সময় পুলিশের নিরব ভুমিকায় মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
শিরোনাম:
শনিবার , ২৬ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১৩ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।