প্রতিনিধি
হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ পূর্ব রাজারগাঁও মালি বাড়ির নারায়নের ছেলে বরুণের (৪৫) পরিবার হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন। আর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় তাদের বাবা বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছে। এতে স্থানীয় মুসলমানগণ নগদ অর্থ ও আশ্রয় দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
ধর্ম বদল করা এই পরিবারের সদস্যরা হলেন, বরুন বর্তমান নাম মো. আহমদ উল্লাহ (৪৫), স্ত্রী গিতা রাণী বর্তমান নাম আয়শা ছিদ্দিকা (৪০), শ্যামলের বর্তমান নাম মো. ইব্রাহীম খলিল (২৫), ছোট ছেলে পাপন বর্তমান নাম মো. মাহমুদুল হাছান (১৬), মেয়ে সূবর্ণা বর্তমান নাম সুমাইয়া আক্তার (৭)।
শনিবার বাদ আছর ইউপি সদস্য ইয়াছিন শেখ ও এলাকার সিরাজুল ইসলাম, আব্দুর রবের সহযোগিতা নিয়ে স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাও. মোজাম্মেল হকের হাত ধরে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন এই পরিবার।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ মাস আগে বড় ছেলে শ্যামল বর্তমানে মো. ইব্রাহীম খলিল (২৫) বাবুর হাট মসজিদের ইমামের হাত ধরে মুসলমান হয়।
বড় ছেলে মো. ইব্রাহীম খলিল জানান, ‘আমার বন্ধুদের নামাজ পড়তে দেখে এবং ইসলাম ধর্মের নিয়মনীতি ভাল লাগায় হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহন করি। আমার মা বাবাকে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার পর তারা আগ্রহী হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন।’
বাবা বরুন বর্তমান নাম মো. আহম্মদ উল্লাহ জানান, ‘আমার বড় ছেলের নামাজ পড়া ইসলাম সম্পর্কে ধারণা পেয়ে ইসলাম ধর্মের নিয়মনীতি ভাল লাগায় আমার স্ব-পরিবারসহ আমি হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে আগ্রহী হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করি।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইয়াছিন শেখ, এলাকার সিরাজুল ইসলাম ও আব্দুর রব জানান, ‘আমরা এই নব মুসলমান পরিবারদের সর্বাত্বক সহযোগিতা করে যাব।’
জানতে চাইলে এই বিষয়ে মসজিদের ইমাম মাও. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘একই পরিবারের চারজনকে আমি কলমা পড়ি দিয়েছি। এছাড়া তাদের নগদ পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছি।’
ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হাদী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।