সাখাওয়াত হোসেন মিথুন :
হাজীগঞ্জে অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম উর্ধ্বগতিতে চলছে সাধারণ জনগন বিপাকে দ্রব্যমুল্যের এই উত্তাপে মাছ ও সবজির বাজার প্রতিদিনই উত্তাপ ছড়াচ্ছে। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও বিক্রেতারা পাইকারি বাজারে দর বেশির অজুহাত দেখিয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন মাছ ও সবজি। গতকাল কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সিমের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়ে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতকাল আসতে এখনো ৩ মাস বাকি কিন্তু ধনেপাতার প্রতি কেজি ৩০০ টাকা। লাউ ৫০, ফুলকপি ৩৫ ও বাধাকপি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুন কেজি প্রতি ৪৫-৫০, টমেটো ৮০, কাঁচা মরিচ ৮০, করলা ৫০, ড্যাড়স ৪০, গাজর ৪৫, মূলা ৫০, কচুর লতি ৪০, কচুর মূখি ৪৫, কাকরোল ৩৫ ও ঝিঙা ৩৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে মাছ বাজারে বড় সাইজের প্রতিকেজি শিং মাছ ১ হাজার টাকা, মাঝারি ৭০০ টাকায় ও মাগুর মাছ কেজি প্রতি ৫০০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া প্রতিকেজি রুই ৩০০, তেলাপিয়া ১৪০-১৫০, কই ২০০-২১০, কাতল ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গলদা চিংড়ি কেজি প্রতি ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা, মাঝারি আকারের গুলো ১ হাজার ১০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাজারে তুলনামূলকভাবে ইলিশের দাম কম। ১ কেজি ২শ গ্রাম ওজনের ১ জোড়া ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। তবে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৩২ টাকা ও ভারতীয় ২৮ টাকা, রসুন দেশি ৬০ ও চায়না ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম হালি ৪২ সাদা, দেশি ডিম হালি ৪৫ টাকা, হাঁসের ডিম ৪৫-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মশুর ডাল কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ১২৫টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খেসারি ৬০, বুট ১১৫, মুগ ১২০ ও ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা থেকে ৯০ টাকা দরে। চালের দাম গত কয়েক মাস ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে পোলাওর চালের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি চিনি গুড়া ও কালি জিরা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা দরে মাংশের বাজারেও চলছে উত্তাপ প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ থেকে ১৮০, গরুর মাংস ২৯০-৩২০ ও খাসির মাংস ৪৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খোলা সয়াবিন তেল কেজি প্রতি ১৩৫ টাকা এবং ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ৬৭০ টাকা থেকে ৬৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
শিরোনাম:
শনিবার , ২৬ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১৩ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।