গত ১ মাসে হাজীগঞ্জে একই পরিবারে ৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। হতভাগ্য পরিবারটি হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের সর্দার বাড়ির। এ নিয়ে এলাকাবাসী সহ স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক আলোচনা আর শোকের আবহ বইতে দেখা গেছে।
মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন পরিবারের গৃহকর্তা আবুল কাসেম লেদু মিয়া (৭০), তার ছেলে পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আবদুল আউয়াল সর্দার (৪৫) ও তার মেয়ে তথা আব্দুল আউয়ালের বড় বোন কামরুন্নাহার (৫০)। সর্বশেষ গতকাল কামরুন্নাহারের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এর আগে গত ১৪ জুলাই কামরুন্নাহার মারা যান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৫ জুন শুক্রবার সকাল ৯টায় আব্দুল আউয়াল (৫০) করোনা উপসর্গ নিয়ে নিজ বাড়িতে মারা যান। মৃত্যুর দুই দিন আগে আউয়াল সর্দার স্যাম্পল দিয়েছিলেন। মৃত্যুর ২ দিন পরে আউয়াল সর্দারের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
ছেলে মারা যাওয়ার ঠিক ৭ দিন পর গত ১২ জুন শুক্রবার সকাল ৯টায় বাবা আবুল কাশেম প্রকাশ লেদু মিয়াও (৭৫) করোনা উপসর্গে মৃত্যুবরণ করেন। কাশেম সর্দার মারা যাওয়ার পরপর স্যাম্পল নেয়ার ২ দিন পরে করোনা পজিটিভ আসে তার।
সর্বশেষ গত ১৪ জুলাই আবুল কাসেমের বড় মেয়ে কামরুননাহার (৫০) করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে শাহমিরান হাসপাতালে আনলে কর্মরত চিকিৎসক কামরুননাহারকে মৃত ঘোষণা করেন। গতকাল ১৮ জুলাই তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। কামরুনাহারের স্বামীর বাড়ি ৫নং সদর ইউনিয়নের সুহিলপুরে। তিনি স্বামীর বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে আনার পর মারা যান।
মৃত আব্দুল আউয়াল সর্দার হাজীগঞ্জ পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন। সপ্তাহ ব্যবধানে বাবা-ছেলে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার প্রায় মাস পরে একই পরিবারের বড় মেয়ে করোনায় মারা যাওয়ায় পরিবারের আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীসহ নিজ গ্রাম মকিমাবাদ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এইচএম শোয়েব আহমেদ চিশতী জানান, ১৮ জুলাই পর্যন্ত হাজীগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪১ জন। এর মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ৬০জন।
শুধু ১৮ জুলাই হাজীগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মৃত কামরুন নাহারসহ ৬জন।