সাখাওয়াত হোসেন শামীম, হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) সংবাদদাতাঃ
হাজীগঞ্জে কৃষি জমিতে ঘর বাড়ি নির্মাণের হ্রাস পাচ্ছে উৎপাদন। সরকারের নিয়ম লংঘন করে ঘর বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। বৃত্তশালীরা এ সব ঘর বাড়ী নির্মাণ করছে। এতে প্রায় ১২ হাজার হেক্টর জমি কমে গেছে। ফলে ফসল উৎপাদন ও কমে গেছে। ফসলী জমিতে এভাবে ঘর বাড়ী নির্মাণ অব্যাহত থাকলে আগামী ৫০ বছরের মধ্যে সেচ প্রকল্পটি আবাসন প্রকল্পে রূপ নেবে। হাজীগঞ্জ সেচ এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় রান্ধুনীমুড়া, বেলচোঁ, সেন্দ্রা, পালিশারা, গন্ধর্ব্যপুর, মৈশামুড়া, মালিগাঁও, রাজারগাঁও, শ্রীপুর, বাকিলা, রামপুর, কালচোঁ, হাটিলা, লাওকোরা, বেলঘর, বলিয়াসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষি জমিতে অসংখ্য বাড়ী ঘর গড়ে উঠেছে। কৃষি জমির উপর গড়ে উঠা এ সব বাড়ীর আশপাশের জমিগুলো ও রাস্তা অন্যান্য কাজে নষ্ট হচ্ছে। বড় বড় গাছের ছায়ার জন্য বাড়ী সংলগ্ন জমিতে ফসল হচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা (ভূমি) কর্মকর্তা সাম্মি আক্তার জানান, যে কারণে এক সময়ের এ সব মাঠের উৎপাদিত ফসল বর্তমানে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১০-১১ অর্থ বছরে উৎপাদনে ইরি-বোরো লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪২ হাজার ৬শত ৫০ মেট্টিকটন। সেখান ২০১১-২০১২ অর্থ বছরে চলতি বছরে লক্ষ্য মাত্রা নেমে আসে ৪০ হাজার ৩শ মেট্টিকটন। হাজীগঞ্জ ও পৌরসভাধীন ফসলী মাঠে দেধারে প্লট ব্যবসা, ইট-বালি ও বসতবাড়ীর কোন নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে গড়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আঃ মান্নান খান বাচ্চু এক প্রশ্নের জবাবে বলে এ সব স্থাপনা গড়ে উঠার পিছনে কিছু নিয়ম নীতি রয়েছে। যারা এসব নিয়মনীতি ও অনুমতি না নিয়ে করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। এ অঞ্চলের কৃষকদের দাবী এক সময়ে এসব মাঠে যে পরিমান ফসল হত বর্তমানে ঘর বাড়ী গড়ে উঠায় উৎপাদন দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। তবে সরকার আবাসন নিরসনে প্রয়োজনীয় নিয়ম-নীতি আইন পাশ করলে এভাবে ফসলের মাঠ
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ