সাখাওয়াত হোসেন মিথুনঃ
হাজীগঞ্জ উপজেলায় ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে জন জীবন বিপর্যস্ত্ম হয়ে পড়েছে। দিন/রাত ঘন্টায় ঘন্টায় লোডশেডিং করেও যেন সামাল দেয়া সার্বিক পরিস্থিতি। ক্রমেই পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌছেছে সে, সব শ্রেণী পেশা ছাড়াও সাধারণ মানুষ ক্রমশ ফুঁসে উঠতে শুরু করেছে। চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার চরম বেঘাত ঘটছে প্রতিনিয়ত। বিদ্যুৎ পরিস্থিতির ক্রমাবনতিতে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ী সমাজ হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগীরা জানান, গত কিছুদিন যাবত লোডশেডিং এর যন্ত্রণা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। দিনে রাতে এখন ৫/৭ ঘন্টাও বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। পাওয়া গেলেও এক নাগারে নয়। এই আসে, এই যায়। এতে স্থবিরতা নেমে এসেছে ব্যবসা-বাণিজ্য, ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখা এবং নিত্য প্রয়োজ এবং নিত্য প্রয়োজনীয় সকল কর্মকান্ডে। ঘন ঘন লোডশেডিং ও লোভোল্টেজের ফলে বাসা-বাড়ির বাল্বসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিঙ্ যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মূলত বিদ্যুৎ মিলছে বড়জোর ৪-৫ ঘন্টা। ক্ষেত্র বিশেষ আরো কম। ফলে বারোটা বাজতে শুরু করেছে বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল ব্যবসায়ীদের। গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। সেই সুযোগে জেনারেটর ব্যবসায়ীরা বাড়িয়ে দিয়েছেন লাইন চার্জ। বিদ্যুৎ না থাকায় আইপিএস চার্জ তে করাই যায় না। ফলে তাদের বেশিরভাগ সময় অন্ধকারেই কাটাতে হচ্ছে। জানা যায়, এখন আর ‘পিক’ কিংবা অফ পিক নেই। গোটা সময়েই লোডশেডিং চলছে সমান তালে। একজন ভুক্তভোগী জানান, সরকার বার বার বিদ্যুতের দাম বাড়ালেও নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে পারছে না। এতে যত মরণ হয়েছে আমাদের (জনসাধারণের) বিদ্যুৎ পাচ্ছি না, টাকাও গুনতে হচ্ছে বেশি। আসলে আমাদের দুঃখ দেখার কেউ নেই। না পারি বলতে না পারি কিছু করতে। আমরা বড়ই অসহায়। নিরূপায়-দুর্ভোগা। তীব্র তাপ দাহের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে গোটা প্রাণিকুল। গরমে হিটস্টোক, ডায়রিয়া সহ গরমজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েই চলছে। বিদ্যুতের তীব্র লোড শেডিং এর কারণে ফটোষ্ট্যাট, কম্পিউটার, মিল কারখানা, ওয়েল্ডিংসহ সাবির্ক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। জনৈক ওয়েল্ডিং ব্যবসায়ী জানান, ওয়েল্ডিং এর কাজ করে তাদের প্রতিদিন সংসার চালাতে হয়। এ অবস্থায় ঘন্টায় ঘন্টায় লোডশেডিং এর কারণে তারা তাদের পরিবারের সংসার চালাতে অক্ষম হয়ে পড়েছে।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ৪ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ১৯ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।