স্টাফ রিপোর্টার:।
– ভোটার তালিকা পুনর্বিন্যাস না করায় ও সীমানা জটিলতার কারণে হাজীগঞ্জ উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন আটকে গেছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৭ মে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের বারটি গ্রাম নিয়ে ‘দ্বাদশ গ্রাম’ ইউনিয়ন গঠিত হয়। কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের কাপাইকাপ, রবিদাসপাড়া, চরপাড়া, দেওদোন, ব্রাহ্মণগাঁও, সেচুয়ালেজী ও রাজারগাঁও ইউনিয়নের চারিআনি, নাসিরকোর্ট, মালাপাড়া, ইছাপুরা এবং বাকিলা ইউনিয়নের কীর্তনখোলা ও সাতবাড়িভাঙ্গা গ্রামকে দ্বাদশ গ্রাম ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি কালচোঁ উত্তর, রাজারগাঁও ও বাকিলা ইউনিয়নের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে সংশোধিত গেজেট প্রকাশ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মুর্শিদুল ইসলাম। দ্বাদশ গ্রাম ইউনিয়ন নিয়ে হাইকোর্টে মামলা থাকায় দীর্ঘদিন নির্বাচন হয়নি।
দুই বছর ধরে দ্বাদশ গ্রাম ইউনিয়নের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলী রেজা আশ্রাফী। তিনি জানান, সীমানা নির্ধারণ নিয়ে মামলা থাকায় এখানে নির্বাচন হয়নি। বর্তমানে মামলা শেষ হয়েছে। এখন নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো বাধা নেই।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাকিলা ইউনিয়নের ছয়ছিলা গ্রামের ২২ ব্যক্তি ভোট কেন্দ্র নির্ধারণ ও সীমানা নির্ধারণে প্রশাসনের অবহেলার শ্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন। বাকিলা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান জানান, আমার ইউনিয়নের দুইটি গ্রাম দ্বাদশ গ্রাম ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন করে ১নং ও ২নং ওয়ার্ডের সীমানা বিন্যাস করা হয়েছে। ২নং ওয়ার্ডে কোনো ভোট কেন্দ্র নেই। এরা কোথায় ভোট দিবেন। এছাড়া ছয়ছিলা এবং লোধপাড়া গ্রাম নিয়ে গঠিত ১নং ওয়ার্ডের একটি গ্রামের সাথে আরেকটি গ্রামের সীমানা নেই। কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সীমানা নির্ধারণ নিয়েও জটিলতা আছে বলে জানা গেছে।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে প্রাপ্য তথ্য অনুযায়ী ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার তৃতীয় দফায় সারাদেশের ৬৮৭টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ওই দিন এসব ইউনিয়নে নির্বাচনের দিন ধার্য করা হয়েছে। ঘোষিত এ তফসিলে হাজীগঞ্জ উপজেলায় ৪টি ইউনিয়নের নাম নেই।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, কালচোঁ উত্তর, রাজারগাঁও, বাকিলা ও দ্বাদশ গ্রাম ইউনিয়নের ভোটার তালিকা পুনর্বিন্যাসের জন্য নির্বাচন কমিশনে যথাসময়ে চিঠি দেয়া হয়েছিল। এখন পর্যন্ত ৪টি ইউনিয়নের ভোটার তালিকা আমরা পাইনি। ৪টি ইউনিয়নের কার্যক্রম বাদ দিয়ে আমরা উপজেলার বাকী ৮টি ইউনিয়নের নির্বাচন কার্যক্রম শুরু করেছি।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতাউর রহমান জানান, তফসিল ঘোষণার আগেই ভোটার তালিকা পুনর্বিন্যাস হওয়ার কথা ছিল। যেহেতু এখন পর্যন্ত ৪টি ইউনিয়নের ভোটার তালিকা পাওয়া যায়নি সেহেতু এ তফসিলে ৪টি ইউনিয়নের নির্বাচন হচ্ছে না। মূলত সীমানা নির্ধারণে দেরি হওয়ায় এ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।