নিজস্ব প্রতিবেদক :
হাজীগঞ্জ উপজেলার ১১ নং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের ফসলী মাঠ খুঁড়ে খাচ্ছে অবৈধ ড্রেজার মেশিন। প্রশাসন যেন নির্বিকার হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে কোন প্রকার ভ্রুক্ষেপ নেই আবাধি ফসলী জমির শতাধিক কৃষকের আকুতি। ফসলী জমির পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে কচুয়া-হাজীগঞ্জ বিদ্যুতের ৩৩ হাজার ভোল্টেজের দুইটি খুঁটি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কাঁঠালী তফাদার বাড়ীর বিল্লাল তফাদার তার ফসলী জমিতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে মাটি ও বালি উত্তোলন করছে। এতে প্রায় ৩০-৪০ ফুট গভীরতা হলে পাশ্ববর্তী ফসলী জমি গুলো ভেঙ্গে চৌচির হয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে। ফলে এই মাঠে একাধিক কৃষক একত্রিত হয়ে জেলা প্রশাসকের বারবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জেলা প্রশাসক বিষয়টি হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত করে বিদ্যুতের খুটিসহ সামষ্টিক বিষয়ে বিবেচনা পূর্বক নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন লিটন, মাসুদ তফাদার, হেলাল তফাদার যোগশাজসে বড়কুল ইউনিয়ন থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ফসলী মাঠ বিনষ্ট করছে।
কাঁঠালী গ্রামের ভোক্তভুগী শাহাদাত বলেন, বিল্লাল তফাদারের পশ্চিমাংশে আমাদের জমি রয়েছে। ৩০-৪০ ফুট খনন করলে আমাদের জমি হুমকীর মুখে পড়বে। কারো অনুমোতি ছাড়াই চেয়ারম্যান একটি স্টাম্পে কম্পিটারের মাধ্যমে আমাদের নাম লিখে নিজেই স্বাক্ষর আর সীল মেরেছেন।
একই গ্রামের মৃত ইদ্রিস মুন্সীর স্ত্রী বলেন, বিল্লালের জমির দক্ষিণাংশে আমার একমাত্র সম্বল (জমি) রয়েছে। এখন চেয়ারম্যান লিটন আমাগো জমিটা নষ্ট করতে চায়।
এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, মাঠের কৃষকদের অনুমোতি প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান একটি স্টাম্প দেখিয়েছেন। তাতে দুইজনের স্বাক্ষর আছে। তদন্ত প্রতিবেদন নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুর্শিদুল ইসলাম বলেন, ২৫ ফুট খননের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তার চেয়ে বেশি খনন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শিরোনাম:
রবিবার , ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ৩১ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।