সাখাওয়াত হোসেন মিথুন :
হাজীগঞ্জে দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে এলপি গ্যাস। সরকার ভর্তুকি দিয়ে দাম দকম রাখলেও সুবিধা পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। এদিকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে অন্যদিকে সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ জনগনঅথচ গ্রাহক যাতে ন্যায্য দামে এলপি গ্যাস কিনতে পারেন, সে বিষয়ে সরকার পুরোপুরি উদাসী। বিতরণের জন্য পদ্মা, মেঘনা, যমুনা কোম্পানির আড়াই হাজার ডিলার রয়েছে। এরমধ্যে হাজীগঞ্জে সরকারি কর্মকর্তা এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সামান্য কিছু এলপিজি দিয়ে বাকিটা খোলাবাজারে বিক্রি করে। হাজীগঞ্জে খোলাবাজারে বিক্রির ক্ষেত্রে সরকারি এলপিজির বোতল থেকে ডিলাররা ঘষে নাম ঠিকানা তুলে ফেলে। এর পর বেসরকারি এলপিজি হিসেবে তা গ্রাহককে সরবরাহ করে। এতে সাধারণ গ্রাহকরা কখনো সরকার নির্ধারিত দাম এলপিজি পায় না। জ্বালানি মন্ত্রাণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৫ মার্চ সরকারি এলপিজির দাম কমিযে এক হাজার টাকা হয়। একই বছর ২৮ জুলাই প্রতি বোতল ৮৫০ টাকা করা হয়। একই বছর ২৮ জুলাই প্রতি বোতলের দাম কমিয়ে ৭০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু দাম কমানোর কোন সুফল পায়নি সাধারণ ভোক্তারা। বাজারে বেসরকারি এলপিজির দামেরই বিক্রি হচ্ছে সরকারি এলপিজি। এক্ষেত্রে বেসরকারি এলপিজির সমো, প্রতি বোতল সরকারি এলপিজি এক হাজার দুইশ’ টাকা থেকে ১ হাজার ৪ শত টাকায় বিক্রি করা হয়। কখনো কখনো এই দাম আরো বাড়ছে। অন্য দিকে আবাসিকে এখন নতুন গ্যাস সংযোগ দেয়া বন্ধ রয়েছে। এতে নতুন বাড়ি ও ফ্ল্যাটে এলপিজিই একমাত্র ভরসা। সরকার গ্যাস সংযোগ বন্ধ করার পর থেকেই এলপি গ্যাসের ওপর কম মওকুফসহ নানা সুবিধার কথা বললেও বাস্ত্মবে তার কিছুই হচ্ছে না। হাজীগঞ্জে একটি এলাকার একটি ফ্ল্যাটের মালিক মানিক মজুমদার জানান, গ্যাস সংযোগ না থাকায় তিনি প্রায় এক বছর নিজের ফ্লাট উঠতে পারেননি। পরে বাধ্য হয়েই ফ্ল্যাটে উঠে এলপি গ্যাস ব্যবহার করা শুরু করেছেন। নতুন বিপত্তি হিসেবে দেখা দিয়েছে প্রতি মাসেই এ গ্যাসের দাম বৃদ্ধি। কমপক্ষে ৫০ টাকা করে প্রতি মাসে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি জানান, গত জানুয়ারি মাসে তিনি এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার কিনেছেন এক হাজার পাঁচশ’ টাকায় আর চলতি মাসে কিনতে হচ্ছে এক হাজার আটশ’ টাকায়। এসব সমস্যা সমাধানে হাজীগঞ্জ উপজেরার সদর সহ বিভিন্ন এলাকাগুলোতে বিপিসির নিজস্ব বিক্রয়দকেন্দ্র স্থাপন করে নির্ধারিত দামে এলপি গ্যাস বিক্রির পরিকল্পনা করা হয়। জ্বালানি বিভাগের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সরকারি পর্যায়ে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রির বর্তমান ব্যবস্থায় একদিকে সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে; অন্যদিকে ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে করে চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ জনগন।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ১৮ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৫ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।