প্রতিনিধি
হাজীগঞ্জের বিভিন্নস্থানে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অর্ধশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনের দিন বিকেল থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত এ হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাগুলো ঘটে। দফায় দফায় বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা এসব ঘটনা ঘটনায়। একই ধরনের ঘটনায় ঘটিয়ে আ’লীগ সমর্থকরা। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নির্বাচনের দিন বিকেলে ৮নং হাটিলা ইউনিয়নের বেলঘর বাজারের আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে বিএনপির কর্মী সমর্থকরা। এবং রাতে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রায় ৩০টি দোকান ভাঙচুর ও ব্যাপক লুটপাট করে তারা। এসময় আওয়ামীলীগের কার্যালয়সহ জাতীর জনক ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করে। একই সময়ে হাড়িয়াইন আড়ং বাজারে আওয়ামীলীগ সমর্থিত ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের জুয়েলারী দোকানে লুটপাট করে প্রায় ৭ভরি স্বর্ণ ১০ভরি রুপা ও নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায় তারা।
বেলঘর আড়ং বাজারের ফার্মেসীর দোকানী সগীর আহম্মেদ জানান, বিএনপি নেতা শিব্বির আহম্মেদ এর নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা হামলা ও লুটতরাজ করেছে। এতে তার ফার্মেসীসহ ২৫ টি দোকানের প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়।
রোববার সকালে উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের জনতা বাজারে আওয়ামী সমর্থিত ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর করে বিএনপি সমর্থিত নেতা কর্মীরা। এসময় যুবলীগ নেতা মানিকের বসত ঘেেরও ভংচুর চালানো হয়। এছাড়া ১নং রাজারগাঁ ইউনিয়নের চেঙ্গাতলী এলাকায় দুটি হিন্দু বাড়িতে ভাংচুর লুটপাট ও বাড়ির লোকদের পিটিয়ে আহত করে বিএনপির কর্মী সমর্থকরা।
অবশ্য আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরাও বিভিন্ন এলাকায় হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়। এর মধ্যে ছেঙ্গাতলী বাজারে কয়েকটি দোকান, রাজারগাঁও বাজারে বিএনপি সমর্থিত কয়েকজন ব্যবসায়ী বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও ৭নং পশ্চিম বড়কুল ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর বাজার সংলগ্ন গোবিন্দপুর এলাকায় বিএনপি সমর্থিত লোকজনের কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করা হয়।
এ ব্যাপার হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম জানান, নির্বাচন পরবর্তী ঘটনায় থানায় বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়েছে। দুস্কৃতিকারী যারাই হোক তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
শিরোনাম:
শনিবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৩ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।