এম. সাখাওয়াত হোসেন মিথুনঃ
হাজীগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৪ লক্ষ জনগণের দায়িত্বভার নিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রুপকল্প ২০২১ দিন বদলের সনদ বাস্তবায়ন করতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে নিরলস কাজ করে আসছেন। প্রতিটি উপজেলার প্রশাসনিক ব্যবস্থাপকে যুগউযোগী তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর করতে উপজেলা প্রশাসনের সকল বিভাগের সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কম্পিউটারের সাথে (এলএএন) সার্ভিস চালু করতে সরকারের নির্দেশনা রয়েছে। সম্প্রতি উপজেলা পরিষদের বিশেষ বরাদ্ধ থেকে এলএএন সার্ভিস বাস্তবায়নের জন্য অর্থ বরাদ্ধ হয়।
নির্বাহী কর্মকর্তা নিজে দায়িত্ব নিয়ে দরপত্র আহব্বান ছাড়াই ল্যান্ড এরিয়া নেটওয়ার্ক (এলএএন) সরঞ্জাম ক্রয় করেন। মজার বিষয় হলো তিনি হাজীগঞ্জে আসার পূর্বে সিলেটের ঝকিগঞ্জে উপজেলার আইটি বিশেষঞ্জ এক ব্যক্তি থেকে মালামাল ক্রয় করেন। এ প্রকল্পে কত টাকা ব্যায় হয়েছে তার সঠিক হিসেব পাওয়া যায়নি।
দুর্ভাগ্য হলেও সত্য আইটি মালামাল গুলো নষ্ঠ হয়ে যায়। পুরো ব্যয়কৃত টাকা জলে গেলো। এতে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তারা ক্ষুব্দতা প্রকাশ করে বলেন, নির্বাহী কর্মকর্তা অর্থ আত্মসাৎ করতেই এমনটা করেছেন। একেবারেই সিলেট থেকে মালামাল ক্রয় করেছেন। আবার আইটি বিশেষেঞ্জ নিয়ে এসছেন। তবুও কম্পিউটার গুলো ঠিক করতে পারেনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মজুমদার জানান, কয়েক মাস আগে প্রতিটি অফিসের কম্পিউটারের সাথে তার সংযুক্ত করে। জানতে পারি এলএএন নামক একটি প্রযুক্তি চালু হবে বলে বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয় হয়েছে। কিন্তু চালু হবার ৩/৪ দিন পরই তা বন্ধ হয়ে যায়।
উপজেলা প্রকৌশলী আশ্রাফ জামিল বলেন, উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে এলএএন চালু হয়। প্রায় কয়েক লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়েছে। সঠিক হিসেবটা ফাইল দেখে বলতে হবে। কয়েকটি অফিসে কানেকশন চালু রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেন জানান, কয়েকটি চালু আছে। তবে তিনি লÿাধিক টাকা ব্যয়ের কথা স্বীকার করেছেন। দরপত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকার একটি ফার্ম কাজটি করেছে।
শিরোনাম:
বুধবার , ৩০ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১৭ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।