এম.সাখাওয়াত হোসেন (মিথুন), হাজীগঞ্জ
কোনো কর্তৃপক্ষের ন্যুনতম নিয়ন্ত্রণও নেই ওষুধের বাজারে। নেই ক্রেতা স্বার্থ সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ। ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি, গুণগত মান এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে ক্রেতারা থাকছেন অন্ধকারে। হাজীগঞ্জে নির্দিষ্ট একটি চক্রই ওষুধ বাজারের নিয়ন্ত্রক।অন্যদিকে ডাক্তারদের ওপরও নির্ভল করা যাচ্ছে না। কমিশন লোভী ডাক্তাররা অপ্রয়োজনীয় ওষুধ এবং টেষ্ট লিখে দিচ্ছেন রোগীকে। এতে বেশি অর্থ খরচ করেও পর্যাপ্ত সুফল পাচ্ছে না রোগী। ওষুধ সম্পর্কে প্রচারের অভাব এবং ওষুধ কোম্পানিগুলোর উদাসীনতাই এর জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়। জাতীয় ওষুধ নীতির কারণে ওষুধ কোম্পানিগুলো তাদের ওষুধ সম্পর্কে ক্রেতাদের জানায় না। তারা বিক্রিয় প্রতিনিধির মাধ্যমে চিকিৎসকদের প্রভাবিত করেছেন। চিকিৎসকরা অনেক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় ওষুধ লিখছেন ব্যবস্থাপত্র।এ সুযোগে বিক্রেতা পর্যায়ে ওষুধের অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারণ করা হয় এবং কোনো কোনো সময় কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে নির্ধারিত কিছু ওষুদের বেশি মূল্য রাখা হয়। চিকিৎসা সেবা পাবার অধিকারটি মানুষের একটি মৌলিক অধিকার। নতুন প্রযুক্তি, আধুনিক যন্ত্রপাতি, স্থাপনা খরচের নামে চিকিৎসার খরচও তারা বাড়িয়ে ধরেন। গ্রামের সাধারণমানুষ রোগি হয়ে ওইসব প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাচারিতার কাছে জিম্মি। তাদের ব্যবসায়িক নির্মম ভুল চিকিৎসায় অনেকেই অসুস্থ্য হয়ে পরেন। জানাযায় উপজেলার বিভিন্ন ওষুধের ফার্মেসিতে ডাক্তারদের কমিশন লোভের কারণে ওষুধের দাম চওড়া হয়ে যাচ্ছে। সক্রিয় সিন্ডিকেট বিভিন্ন ফার্মেসির সাথে লিয়াজো রেখে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ব্যবসা। উপজেলার বিভিন্ন ওষুধের দোকানে নিরক্ষর জাতিয় কোন ব্যক্তি গেলে তারা মেয়াদ উত্তির্ন ওষুধ বিক্রি করছে বলে গোপন সূত্রে প্রকাশ পায়। নিয়ন্ত্রণহীন এসব ওষুধ এর কারণে ভোগান্ত্মি পোহাচ্ছে অসহায় ক্রেতারা।