সাখাওয়াত হোসেন মিথুন(হাজীগঞ্জ)ঃ
হাজীগঞ্জ উপজেলায় ইয়াবা সম্রাট মোস্ত্মফা উদয় হয়েছে। গোপনসূত্রে জানা যায়, হাজীগঞ্জ উপজেলার রামচন্দ্রপুর তার গ্রামের বাড়ী, তার নানার বাড়ী আলীগঞ্জ। হাজীগঞ্জ মমিন রোডে, উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আশে পাশে প্রায় সময় তার আনা গোনা দেখা যায় বলে জানা যায়। এই ইয়াবা সম্রাট রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘ্য অনেক দীন ইয়াবা-ফিন্সিডিল ও হেরোইনের জন্য আর বাইরে যেতে হয় না হাজীগঞ্জ উপজেলার মাদকসেবীদের। এখন হাত বাড়ালেই ওইসব পাওয়া যায় হাজীগঞ্জ সদর সহ গ্রাম অঞ্চলে। এই ইয়াবা সম্রাট মোস্ত্মফার প্রতিনিধিরা কয়েকজন ভ্রাম্যমাণ মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা, ফেন্সিডিল, হেরোইন পৌঁছে দিচ্ছে সেবনকারীদের কাছে। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা থাকলেও থেমে নেই মাদক ব্যবসা। বিশেষ সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে কঙ্বাজার ও কুমিল্লা থেকে পরিবহন যোগে মোস্ত্মফার কাছে এই মাদক আসে আর সে সীমান্ত্মবর্তী এলাকাদিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে পৌঁছে বিভিন্ন কৌশলে মাদক। চাউলের বস্ত্মা, ম্যাচের বাঙ্, মোবাইলের ব্যাটারি খুলে, কাতলা ও ফাঙ্গাস মাছের মুখে পলিথিন মুড়িয়ে, মুরির বস্ত্মার ভিতরে ইত্যাদি মাধ্যমে যাতায়াত করতে সুকৌশল ব্যবহার করছে ইয়াবা সম্রাট মোস্ত্মফা। ওইসব মাধ্যমে হাজীগঞ্জে ইয়াবা, ফেন্সিডিল, হেরোইন এনে বিক্রি করছে কতিপয় মাদকব্যবসায়ী। এর মধ্যে হাজীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্পটে এবং রাস্ত্মা-ঘাটে সহ বালুরমাঠ, পৌরবাসষ্টেন, স্পাহানীপাড়া, মমিনরোড, কাটাখালি, জিয়ানগর, সেন্দ্রা, বেলচোঁ, টার্মিনাল, উয়ারুক আলীপুর রাস্ত্মার শেষ মাথায়, রাড়া রেল লাইনের ফ্লাটফর্মে, বালিরগোডাউন, জুটমেলের পেছনে, পাইলট হাইস্কুলের পেছনে, উয়ারুক সোনালী ব্যাংকের পিছনে, বাকিলা সিএনজি স্টেন সহ বিভিন্ন যায়গায় পরিমাণমত বিক্রয় হচ্ছে বলে বিশেষ সুত্রে জানাগেছে। নামপ্রকাশ্যে অনিচ্ছুক হাজীগঞ্জ বাজারের কয়েকজন যুবকের মাধ্যমে জানাগেছে এই ইয়াবা সম্রাট একটি বিশাল সেন্ডিকেটের ছায়ায় ব্যবসা করে যাচ্ছে। প্রশাসনের চোখের আড়ালে প্রকাশ্যে হরদম ভাবে মাদক ব্যবসায়ীরা রমরমা ব্যাণিজ্যে মেতে উঠেছে রামচন্দ্রপুর গ্রামের মোস্ত্মফা নামের ইয়াবা সম্রাট। ইয়াবা সহ যেকোন মাদক কত মায়ের কোল খালি করে দিচ্ছে এবং মাদক সেবীরা দিন দিন মৃত্যুর দিকে ঝুঁকছে। ইয়াবার টাকা যোগান দিতে মাদকসেবীরা বিভিন্ন অপকর্ম ও অসামাজিক কর্মকান্ডে জরিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একারণে অহরহর ভাবে স্বর্ণ, মোবাইল, টাকা পয়সা ছিন্ত্মাই, চুরি, ডাকাতি, নারী উতেক্তা বেড়েছে। জানাযায় পৌর ৫নং ওয়ার্ড মকিমবাদের কার্তিক ডাক্তারের বাড়ীর সংলগ্নে ফারুক নামের এক ব্যবসায়ীল ঘর থেকে কিছুদিন আগে সূকৌশলে স্বর্ণের নেকলেস, গহনা, হাতের বালা সহ প্রায় ৭৫ হাজাটার টাকা ও মোবাইল নিয়ে যায় প্রায় ৪টি। মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। প্রশাসন কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করলেও থেমে নেই মাদক ব্যবসা। সচেতন মহলের দাবী প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি থাকলে এই ইয়াবা সম্রাটকে আটক করা সম্ভব।