সাখাওয়াত হোসেন মিথুনঃ
হাজীগঞ্জে পিতা জীবিত থাকা অবস্থায় দুই পুত্র জাল দলিল সৃজন করে বাড়ি বিক্রির ঘটনা ঘটেছে। জানতে পেরে পিতা ঐ দুই পুত্রের জাল দলিলের বিরুদ্ধে মামলা করার পর আদালত দলিলটি বাতিল করেছে। কিন্তু ষড়যন্ত্র থেমে নেই। অভিযুক্ত ভূমির উপর থাকা দ্বিতল ভবনে বিচ্ছিন্ন করা বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় লাগিয়ে শর্ত বহাল রাখার পায়তারা চলছে। ঘটনাটি ঘটেছে হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৫নং ওয়ার্ডের সাহা বাড়ীতে।
ঘটনার সূত্রপাতে জানাযায়, হাজীগঞ্জ পৌর ভূমি অফিসের আওতাধীন ২১৩নং মকিমাবাদ মৌজায় হালে ৮৩নং বিএস খতিয়ানভূক্ত ৩১৩৪নং খারিজ খতিয়ানের ৪৮৭ দাগের ছয় শতাংশ ভূমি মূল মালিক মোঃ রুহুল আমিন। তার পাঁচ ছেলের মধ্যে ছোট তিন ছেলে বিদেশ থাকায় বড় দুই ছেলে মোঃ মোস্তফা কামাল ও মোঃ মনির হোসেন গোপনে পিতার অনুমতি ছাড়া কচুয়া উপজেলার কাদলা গ্রামের আঃ রহমানের কাছে ছয় শতাংশ ভূমি উপর দৌতলা বাড়ি বিক্রয় করে দেয়। পিতা জানতে পেরে দলিলটি অবৈধ দাবী করে আদালতে মামলা করেন। যার নং-১১/২০০৯, মামলাটি জেলা যুগ্ম-জজ ২য় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ গত ০১/০২/২০১২ইং তারিখে রায়ে সৃজনকৃত দলিলটি বেআইনী মর্মে বাতিল ঘোষনা করেন। এরপর পিতা রুহুল আমিন ক্ষীপ্ত হয়ে বড় দুই ছেলেকে বাদ দিয়ে ছোট তিন ছেলে মোঃ কবির হোসেন, মোঃ দিলদার হোসেন ও মোঃ এমরান হোসেনকে সাব-কবলা করে দেয়। এখন ভূমিতে থাকা দ্বিতল ভবনে ঐ দুই ছেলে নিজেদের নামে স্থগিত করা বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় লাগিয়ে শর্ত বহাল রাখার চেষ্টা করছে। পিতা রুহুল আমিন ঐ দুই ছেলের নামে বিদ্যুৎ সংযোগ না দেয়ার জন্য চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার বরাবর একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থগিত হয়।
বর্তমানে বাড়রি দখলে থাকা কচুয়া উপজেলার কাদলা গ্রামের আবদুর রহমান জানান, আমি বৈধ ভাবে বাড়িটি ক্ষরিদ করেছি। নিয়মিতি ভাবে ভূমির কর পরিশোধ করে আসছি। বাড়িতে আমার নিজের নামে গ্যাস সংযোয রয়েছে বলে জানিয়েছেন। পৌরসভায় আমার নিজ নামে হোল্ডিং রয়েছে। রুহুল আমিন নিজেই আমার কাছে বাড়িটি বিক্রি করিয়াছে। এখন ষড়যন্ত্রে মাধ্যমে বাড়িটি দখলে চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। আমি ন্যায় বিচারের জন্য মহামান্য হাই কোর্টে একটি মালমা বিচারাধীন আছে।
শিরোনাম:
বুধবার , ৯ জুলাই, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৫ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।