শাখাওয়াত হোসেন শামীম, হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) সংবাদদাতা:
চাঁদপুর হাজীগঞ্জে বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রহসন মূলক প্রস্তুতির অভিযোগ উঠেছে। প্রতিকার চেয়ে ক্ষুব্ধ প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত আবেদন জানিয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ায় শন্য পদে গত ৩ সেপ্টেম্বর দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ২০ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ বাতিল করে। পরবর্তিতে পুনরায় দ্বিতীয় বার গত ১৬ অক্টোবর দৈনিক প্রথম আলো ও স্থানীয় অন্যান্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে প্রাশাসনিক কাজে দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রার্থীদের আবেদন করতে বলা হয়। অথচ চলতি বছরের ২৭ আগষ্ট শিক্ষা মন্ত্রনালয় জারিকৃত পরিপত্র অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রাপতির আদেশক্রমে সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী স্বাক্ষরীত পরিপত্রের পরিপন্থি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরিপত্রে উল্যেখ আছে প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য ১২ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার প্রয়োজন।
অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে, প্রথম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ৪ জন প্রার্থী ও দ্বিতীয় বিজ্ঞপ্তির প্রকাশের পর ২৬ জনসহ মোট ৩০ জন প্রার্থী আবেদন করে। কর্তৃপক্ষ নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে নেওয়ার জন্য ২২ জন প্রার্থীকে ইন্টারভিউ কার্ড ইসু না করেই নিয়োগ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়। আজ ২ ডিসেম্বর এই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এতে আবেদনকারী ক্ষুদ্ধ প্রার্থীদের মধ্যে এক প্রার্থী গত ২৯ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করে।
ইন্টারভিউ থেকে বাদপড়া প্রধান শিক্ষক পদে আবেদন কারী মেনাপুর বাদশা মিয়া উ/বি. এর প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (যার বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযোগের তদন্ত ইউ এন ও ইতিমধ্যে করেছে ), ছোট সুন্দর এ আলী উ/বি. সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ নাসির উদ্দিন, কচুয়া পালগিরি উ/বি. সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ সাইফুল ইসলাম, সপ্তগ্রাম বালিকা উ/বি. সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহ আলম, মালিগাঁও উ/বি. সহকারী প্রধান শিক্ষক মোর্তেজা কামাল, ফরিদগঞ্জ প্রত্যাশী আরএ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহাবুব আলম ও রঘুনাথপুর হাজী এ করিম খান উ/বি. চাঁদপুর সদর এর সহাকারী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ এ.টি.এম. সাইফুল ইসলামসহ ২২জনকে ইন্টারভিউ কার্ড প্রদান করা হয়নি।
এদের মধ্যে রঘুনাথপুর হাজী এ করিম খান উ/বি. চাঁদপুর সদর এর সহাকারী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ এ.টি.এম. সাইফুল ইসলাম উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার লিয়াকত আলী সঙ্গে মুঠফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কয়েকজন প্রার্থী ফোন করে ব্যাপারটি আমাকে জানায়। তিনি বলেন যে, সরকারী বিধি মতে প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য ১২ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা প্রয়োজন এবং সাইফুল ইসলাম নামে এক শিক্ষক হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একখানা অভিযোগ দায়ের করেন, যার কপি আমি হাতে পেয়েছি।
শিরোনাম:
বুধবার , ২৬ মার্চ, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১২ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।