সাখাওয়াত হোসেন মিথুন (হাজীগঞ্জ):
হাজীগঞ্জে বাল্যবিয়ে দেয়ার প্রবণতা কমছে না বরং দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাল্যবিয়ের কারণেই উপজেলার বিছিন্ন জনবসতিগুলোতে বাড়ছে নারীর মৃত্যুঝুঁকি, নারী নির্যাতন,বিবাহ বিচ্ছেদ, বহুবিবাহ,আত্যহত্যা, পুষ্টিহীনতা ও প্রতিবন্ধী শিশু জন্ম নেয়ার হার। দরিদ্র পরিবারের অধিকাংশ মেয়ে ১২ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে। অশিক্ষা, অসচেতনতা আর নিরাপত্তা হিনতার কারণে ১৩ বছরের মধ্যে বেশির ভাগ মেয়ের বিয়ে দিচ্ছেন অভিভাবকরা। এদের মধ্যে ৭০ শতাংশ মেয়েই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় সন্ত্মান ধারণ করছে। শারীরিক পরিপক্কতা আসার আগেই সন্ত্মান ধারণ করা রক্ত শূণ্যতা, দূবর্লতা খিচুনি সহ নানাবিদ রোগ দেখা দেয় এবং বাচ্চার ওজন কম হওয়া সহ শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধি হয়ে অধিকাংশ শিশু জন্ম নেয়। বাড়ছে মাতৃ মৃত্যুর হার এবং নারী নির্যাতনের ঘটনা। অষ্টম, নবম শ্রেণীর ছাত্রীদের জোরপূর্বক অভিভাবকরা বিয়ে দিতে চাচ্ছেন। অধিকাংশ মেয়েই পিতা মাতার জোরপূর্বক প্রস্ত্মাবকেই মেনেনিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসে। নানা কারণে অভিভাবকরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়েকে বিয়েতে বাধ্য করে। মেয়ের বয়স বেশি হলে বিয়ে হবে না এবং বিয়ের পর ছেলে সংসারী হবে এমন সব উদ্ভট ভাবনা থেকে অভিভাবকরা অপ্রাপ্ত বয়স্কদের বিয়েতে বাধ্য করেন। বিয়ে রেজিষ্টাররা কনের বয়স ১৮ আর বরের বয়স ২১ বছর দিতেই কাবিন সম্পন্ন করেন। জন্ম নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা গ্রহণ যোগ্য অন্যান্য প্রমান পত্রের ভিত্তিতে কাজীরা বয়স নিরূপন করে বিয়ে রেজিষ্ট্রি করলে বাল্য বিয়ের প্রবণতা হৃাস পেত। হাজীগঞ্জে এই নিয়মের তোয়াক্কা করছেন না গ্রাম্য কাজী বা তাদের প্রতিনিধিরা। এখানে কাজীদের অতিলোভি মনোভাবের কারণে বাল্যবিয়ের সংখ্যা কেবল বাড়ছেইনা বরং অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে। বেশির ভাগ অপ্রাপ্ত বয়স্ক কনেকে ১৮ বছর দেখিয়ে কাবিন হালাল করা হচ্ছে।
শিরোনাম:
শনিবার , ২৬ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১৩ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।