মনিরুজ্জামান বাবলু ॥
বাল্য বিয়ে একটি সামাজিক ব্যাধি। আর এই ব্যাধির ছোবলে প্রাণ হারালেন হাজীগঞ্জ উপজেলায় ৪ নং কলোঁেচা ইউনিয়নের ভাটরা গ্রামের পারভীন আক্তার (১৫) নামের গৃহবধু।
সে রাজাপুরা দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী থাকাকালীন সময়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়। ২০১৩ সনের ৮ মে একই গ্রামের বড় বাড়ীর বর বাবলুর সাথে বিয়ে হয়। প্রথম বছরেই মৃত কন্যা সন্তান প্রসব করে।
মাত্র ১৩ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসে পোহাত হয়েছে শ্বাশুড়ি-ভাসুর-ননদসহ স্বামীর। গৃহবধুর বাবা ফারুক আহম্মেদ এখন মেয়েকে হারিয়ে পুলিশের দ্বরস্থ হলেন হত্যার অভিযোগ নিয়ে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে স্বামীর বাড়ীতে অচেতন অবস্থায় আঙ্গিনায় পড়ে থাকতে দেখতে পায় ভাসুর আবদুল কাদের। তাকে উদ্ধার করে ঘরে নেয়ার পর গৃহবধু মারা যান বলে জানিয়েছেন শ্বাশুড়ী আছিয়া খাতুন।
থানা পুলিশ শুক্রবার বিকেলে গৃহবধুর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।
গৃহবধু পারভীনের মা শাহিদা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়েকে মারধর করে ওরা মেরে ফেলেছে। বহুবার মেয়েকে শারিরিক নির্যাতন চালিয়েছে শ্বাশুড়ী-ভাসুর-জামাই।’
তিনি আরো জানান,‘ কানের জিনিসসহ নগদ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দিয়ে বিয়ে দিয়েছি। বাল্য বিয়ে প্রসঙ্গে বলেন, সব কাগজপত্র চেয়ারম্যানে ঠিকঠাক করে দিয়েছেন।’
স্বামী বাবলু মিয়া বলেন, ‘রাতে একসাথে ঘুমিয়েছি। হঠাৎ বড় ভাই আবদুল কাদের তাকে অচেতন অবস্থায় টিউবলের কাছে দেখতে পায়। তাকে কেউ মারধর করেনি।’
এসআই মাহমুদ বলেন, ‘ ময়না তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে এটি অস্বাভাবিক মৃত্যু কিনা।’
বাল্য বিয়ের বলি পারভীনের প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান আবু নছর মিন্টু বলেন, কবে কি হয়েছে, এসব মনে নেই। তবে এটি স্বাভাবিক মৃত্যু। একটি পক্ষ হত্যার অভিযোগ তুলে বিশৃংখলা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠা করছে।’
হাজীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহআলম অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শিরোনাম:
বৃহস্পতিবার , ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ , ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।