সাখাওয়াত হোসেন মিথুনঃ
হাজীগঞ্জে মাদকদ্রব্যের বিকল্প হিসেবে সলিউশন আঠার নেশায় আসক্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। অভিনব নেশার ফাঁদে পড়ে এলাকার উঠতি বয়সের যুবসমাজ বিপথগামী হচ্ছে। ফলে অভিভাবক মহল তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবনের সাফল্য নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলা সদরসহ মকিমাবাদ, মাতৈন, সুদিয়া, জিয়ানগর, রায়চোঁ, বেলচোঁ, বালির কোডাউন, জুট মেলের সামনে এবং বিভিন্ন এলাকাসহ গ্রামাঞ্চলের চিহ্নিত অর্ধশত পয়েন্টে মাত্র এক বছর আগেও মাদকদ্রব্যের অবাধ বেচাকেনা চলে। হাত বাড়ালেই বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য সহজেই পাওয়া গেছে। এতে মাদকাসক্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যায়। মাদকের অবাধ বেচাকেনা ও সেবনে এলাকার সচেতন মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। এলাকায় নেশাখোরদের মাতলামির শিকার হয়ে সমাজের সাধারণ লোকজন দিশেহারা হয়ে পড়ে। ফলে এলাকাবাসী মাদক নির্মূলের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিভিন্ন শাখায় আবেদন করেন। এতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার টনক নড়ে নি। মাদকের জগতে নতুন মাত্রায় যোগ হয়েছে সলিউশন আঠা। যে আঠা যানবাহনের টিউবের ফুটো মেরামতের (তালি) কাজে ব্যবহার হয়। এছাড়া জুতা তৈরি ও মেরামতের জন্যও ওই আঠা ব্যবহার করা হয়। স্থানীয়ভাবে সলিউশন আঠা নামে পরিচিত। তবে নেশাখোররা এর নাম দিয়েছে ড্যান্ডি। যানবাহনের খুচরা যন্ত্রাংশের দোকানে সলিউশন আঠা বেচাকেনা হয়। এক কৌটা সলিউশন আঠার দাম মাত্র ২০ টাকা। ওই আঠা পলিথিনে ঢেলে নিয়ে মুখ ও নাক দিয়ে ১৫-২০ মিনিট নিঃশ্বাস নিলেই সহজে আসক্ত হয়ে পড়ে। এক কৌটা আঠা দিয়ে ৪-৫ জন নেশা করতে পারে। কম দামে অধিক ব্যক্তি নেশা করা যায়। এছাড়া পুলিশের কোনো ঝামেলা নেই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সলিউশন নেশায় আসক্ত এক যুবক জানায়, সলিউশন আঠার তীব্র গন্ধ মুখ ও নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই নেশার ভাব হয়। মাথা ঘোরা ও শরীর ঝিম ঝিম করে। তারপর ঘুমের ভাব হয়। প্রায় ১২ ঘণ্টা নেশার ভাব থাকে।। থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, এটা নতুন উদ্ভাবিত নেশা। এর আগে কখনও এ নেশার কথা শোনা যায়নি। তবে যা দিয়েই নেশা করুক না কেন, আসক্ত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শিরোনাম:
রবিবার , ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৬ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।