প্রতিনিধি-
ঈদকে সামনে রেখে বাংলাদেশের প্রথম সারির ট্রান্সকম বেভারেজেস লিঃ- এর কোমল পানীয় মেয়াদোত্তীর্ণ ‘সেভেন আপ’-এ বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। হাজীগঞ্জ বাজারে মেয়াদোত্তীর্ণ একাধিক ‘সেভেন আপ’-এর প্রমাণ মিলেছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে হাজীগঞ্জ বাজারের স্টেশন রোডস্থ বিস্মিল্লাহ টেলিকম এন্ড কনফেকশনারীতে একাধিক মেয়াদোত্তীর্ণ ‘সেভেন আপ’-এর সন্ধান মিলে। এক ক্রেতাকে মেয়াদোত্তীর্ণ সেভেন আপ পরিবর্তন করে দিয়েছে দোকানি ও ডিলার কর্তৃপক্ষ।
হাজীগঞ্জ বাজারের ক্রেতা মাহবুবুর রহমান মিলন জানান, তিনি শনিবার দুপুরে বিস্মিল্লাহ টেলিকম এন্ড কনফেকশনারী থেকে ২ লিটারের ৩টি সেভেন আপ ক্রয় করেছেন। বাসায় গিয়ে সেভেন আপ-এর মুখ খোলার আগেই মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখটি তার নজরে পড়ে। ৩টি সেভেন আপ-এর মধ্যে ২টির মেয়াদোউত্তীর্ণ। ১টিতে উৎপাদন নম্বর ২৩-০৪-১৩, ব্যাচ নং- ৫২২। ওই সেভেন আপটির মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ জুলাই ২০১৩।
এই ক্রেতা আরো জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ সেভেন আপগুলো তিনি বিস্মিল্লাহ কনফেকশনারীতে নিয়ে আসলে দোকানি পরিবর্তন করে দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। এক পর্যায়ে সেভেন আপের ডিলার নিউ বিলাসী স্টোরের মালিককে অবহিত করলে সেভেন আপের পণ্য ফেরৎ নেয়া হয় না বলে তিনি জানিয়ে দেন।
বিক্রেতা বিস্মিল্লাহ কনফেকশনারীর মালিক শামিম জানান, ১ সপ্তাহ আগে সেভেন আপের ডিলার নিউ বিলাসী স্টোর থেকে এই পণ্যগুলো রাখা হয়েছে।
হাজীগঞ্জ বাজারের সেভেন আপের ডিলার নিউ বিলাসী স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী গৌতম সাহা এ বিষয়ে বলেন, সেভেন আপের কোনো পণ্য ফেরৎ নেয়া হয় না। পরিবর্তন করে দেয়ার প্রসঙ্গে বলেন, স্থানীয় লোকজনের হসত্দক্ষেপে সেভেন আপগুলো পরিবর্তন করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির বাণিজ্যিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মুন্সী বলেন, যে পণ্য ফেরৎ দেয়া হয় না তা কীভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে, তা আমার বোধগম্য নয়।