বিশেষ প্রতিনিধি
হাজীগঞ্জে যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রীকে মারধর করার অভিযোগে মোঃ আজাদ হোসেন নামের এক প্রবাসী যুবককে (৩২)কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আজাদ হোসেন হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন মকিমাবাদ গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে।
গত ১০ অক্টোবর আজাদ হোসেনের স্ত্রী নুসরাত জাহান (১৯) বাদী হয়ে তাকে নির্যাতন ও যৌতুক আইনের ৪ ধারায় অভিযোগ এনে চাঁদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শওকত হোসেনের আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় স্বামী আজাদ হোসেন, শ্বশুর আব্দুল ওয়াদুদ ও শ্বাশুড়ি রোকেয়া বেগমকে আসামী করা হয়। আদালত মামলার শুনানী শেষে আজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে সরাসরি গ্রেফতারি পরোয়ানা এবং শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন।
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ আজাদকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করেন। হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান আবুল হোসেন জানান, গতকাল শুক্রবার আজাদকে আদালতে হাজির করার পর তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
নুসরাত জাহানের মা সেলিনা আক্তার জানান, ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে আড়াই লাখ টাকার দেন মোহরানায় আজাদের সাথে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের ২ মাস পর আজাদ দুবাই চলে যায়। তারপর শ্বশুর বাড়িতে থাকাকালীন তার শ্বশুর-শাশুড়ি আমার মেয়েকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে গালিগালাজ ও অশান্তি করতো। পরে মেয়েকে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি।
এদিকে আজাদ দুবাই ব্যবসার করার কথা বলে আমার কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। এর মধ্যে তাকে ১ লাখ টাকা দেয়া হয়। বাকি টাকা না দেয়ায় আজাদ আমার মেয়ের খোঁজ খবর নেয়া বন্ধ করে দেয়।
নুসরাত জাহান জানান, আমার স্বামী শ্বশুর-শ্বাশুড়ির কথা শুনে প্রায় আমাকে মারধর করত। গত ১৫ দিন আগে সে দুবাই থেকে দেশে আসে। দেশে আসার পর সে আমার এবং আমার পরিবারের কারও খোঁজ-খবর নেয় নি। ৪ মাস আগে আমার বাবা মারা যাওয়ায় আমরা অসহায় হয়ে পড়ি। আমার পরিবারের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তারা আমাকে বিদায় করে দেয়ায় সুযোগ খুঁজছে। নুসরাত আরও জানান, মামলা করার পর আমার শ্বশুরের পরিবারের পক্ষ থেকে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে।