প্রতিনিধি
হাজীগঞ্জে গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়েছে। অভিযানে বিএনপির ১৩ জন নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে এ অভিযান চালানো হয়। আটককৃতদের গতকাল আদালতে হাজির করা হলে একজন বাদে অন্যদের জেল হাজতে পাঠানো হয়। এছাড়া গত ক�দিনের সহিংস ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় ৩টি মামলা দায়ের করেছে। মামলা ৩টির বাদী হচ্ছেন ঃ হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, মোঃ এরশাদ উদ্দৌলা ও নিজাম উদ্দিন। এর মধ্যে একটি মামলা পূর্বে হয়েছে, বাকি ২টি মামলা গত সোমবার রাতে হয়েছে।
মঙ্গলবার গভীর রাতে র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে আটক করা হয় পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন খান (৩৮), মোঃ সোহেল (২৩), ইমাম হোসেন (২৫), ফারুক হোসেন (৩০), আমির হোসেন (৩৮), ইউসুফ মিয়া (৪৮), বিল্লাল হোসেন (৪৫), আলমগীর হোসেন (২৮), মোঃ ওয়াসিম (২৭), আলমগীর হোসেন (৫০), মোঃ সবুজ (২০), আবুল খায়ের মুন্সী (৫০) ও এমরান হোসেন (৩০)কে। এদেরকে গতকাল আদালতে হাজির করা হলে আদালত পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন খানকে জামিন দেয় এবং অন্যদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
গত রোববার ও সোমবার দু�দিন হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন টোরাগড় এলাকায় ১৮ দলীয় জোটের কর্মী-সমর্থকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে জোটের প্রায় ১০-১২জন কর্মী গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়। এ ঘটনায় ঐ রাতেই হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে ১৫২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত সহস্রাধিক ব্যক্তিকে আসামী করে ৩টি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর মঙ্গলবার রাতে পৌর এলাকার টোরাগড়, বলাখাল ও মকিমাবাদ এবং হাটিলা এলাকায় যৌথ বাহিনী বিশেষ অভিযান চালায়। অভিযানে পুলিশের সাথে অংশ নেয় র্যাব-১১-এর সদস্যরা।
হাজীগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত ও মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের টোরাগড়, বলাখাল ও বাকিলা এলাকায় পুলিশের উপর হামলা, সড়কের উপর গাছ কেটে সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, গাড়ি ভাংচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম জানান, গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং আছে। দলের যত শীর্ষস্থানীয় নেতাই হোক না কেন, আইন ভঙ্গ করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবেই।