
প্রথম মামলায় (নং-২৬) ৬ জনকে আসামী করা হয়। এর মধ্যে শাহাদাৎ হোসেন শিহাব (২৫) ও মোঃ মাহবুবুল আলম আবির (২৫) নামক দুই জনকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করে র্যাব। অপর চার আসামী পলাতক রয়েছে। তারা হলো রাবি্ব, সোয়েব পাটওয়ারী, তুষার ও সৌরভ।
দ্বিতীয় মামলায় (নং-২৭) ২ জনকে আসামী করা হয়। এর মধ্যে মাইনুল ইসলাম (২৫)কে হাতেনাতে গ্রেফতার করে র্যাব। অপর আসামী সৌরভ পলাতক রয়েছে। শুক্রবার গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ভোর রাতে (বুধবার দিবাগত রাতে) অনলাইন হ্যাকিং ও প্রতারণার অভিযোগে র্যাব-২ ও র্যাব-১১-এর যৌথ অভিযানে হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৯নং ওয়ার্ড কংগাইশ গ্রাম থেকে শাহাদাৎ হোসেন শিহাব, মাইনুল ইসলাম ও মোঃ মাহবুবুল আলম আবিরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মোঃ শাহাদাৎ হোসেন শিহাব ওই গ্রামের মোঃ জাকির হোসেন বেপারীর ছেলে, মোঃ মাইনুল ইসলাম একই গ্রামের মোঃ মনিরুল ইসলামের ছেলে ও মোঃ মাহবুবুল আলম আবিরও একই গ্রামের মোঃ আবুল হোসেনের ছেলে। এ সময় তাদের কাছ থেকে হ্যাকিং কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল, পাসপোর্ট, পেনড্রাইভ, বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম কার্ড, চেক বই ও নগদ ২ লাখ ৩৯ হাজার ৯শ’ টাকা উদ্ধার করে র্যাব।
র্যাব-১১-এর প্রেস রিলিজ সূত্রে জানায়, গ্রেফতারকৃত প্রতারক চক্রটি দীর্ঘদিন যাবৎ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম সমূহ ব্যবহার করে অনলাইনে কেনাকাটা, বিভিন্ন বিল পে করা, বিদেশে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের টিউশন ফি পেমেন্ট ডিসকাউন্ট অফার করে প্রতারণা করে আসছিল।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন রনি বলেন, উল্লেখিত ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে তথ্য প্রযুক্তি আইনে দুটি মামলা দায়ের করেছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে তিনি জানান।